টিডিএন বাংলা ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ছায়া এবার বুলন্দ শহরের ধারাউতে। দলিত পরিবারের ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে গুলি করে খুনের অভিযোগ। কাঠগড়ায় উচ্চবর্ণের কয়েকজন। শুধু তাই নয়। মেয়েটির পরিবারের দাবি, ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক মন্ত্রী। পরিবারের বিস্ফোরক অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে পুলিশ জোর করে শেষকৃত্য সেরে ফেলে।
গণধর্ষণ মানতে নারাজ পুলিশ। পুলিশের দাবি, ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান নেই। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ নেই। তাদের দাবি, ২১ জানুয়ারি ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা দেখেন, মেয়েটির গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়েছিল। তার পাশে হাতের শিরা কাটা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল সৌরভ শর্মা নামে এক যুবককে। প্রেমে প্রতারণার জেরে প্রথমে গুলি করে ওই মেয়েটিকে মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সৌরভ। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। জোর করে রাতের অন্ধকারে মেয়েটির শেষকৃত্য করা হয়েছে, সেই অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।
মেয়েটির পরিবারের দাবি, গ্রামের সরপঞ্চ মহেন্দ্র শর্মার খামার বাড়িতে দেহ মেলে। সরপঞ্চ এর ছেলে ও তার বন্ধু সৌরভ এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। নিহত মেয়েটির কাকিমা বলেন, সৌরভকে আমরা চিনি। বাইক চালাতে পারেনা। সে বাইকে করে ১৬ কিলোমিটার কীভাবে এলো? আমাদের মেয়ে মোটাসোটা ছিল। একার পক্ষে অপহরণ সম্ভব নয়। ব্রাহ্মণের ছেলেরাই তাকে অপহরণ করে শেষ করে দিল।” অভিযুক্ত মন্ত্রী অনিল শর্মাকে কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।