টিডিএন বাংলা ডেস্ক: রাজধানী দিল্লির একাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে একদিনেরও কম কয়লা পড়ে রয়েছে। যার জেরে তীব্র দাবদাহের মধ্যেই দিল্লিতে পাওয়ার কাট হতে পারে। এমন আশঙ্কার কথাই জানালেন দিল্লির বিদ্যুৎ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। ব্যাহত হতে পারে মেট্রো এবং বহু সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিল্লির বিদ্যুৎমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন,”যেখানে ২১ দিনেরও বেশি সময়ের কয়লা মজুদ থাকা দরকার সেখানে বহু উৎপাদন কেন্দ্রে এক দিনেরও কম সময়ের কয়লা রয়েছে।” তিনি আরো বলেন,”বিদ্যুৎ সঞ্চয় করা যায় না। তা প্রতিদিন উৎপাদন করা হয়। কয়লা সঞ্চয় করা হয়। সাধারণত ২১ দিনের কয়লা মজুদ রাখা দরকার। কিন্তু এনটিপিসি দাদরি ও উনচাহারের মতো বহু বিদ্যুৎকেন্দ্রে আর একদিনের কয়লা মজুদ রয়েছে।”
বৃহস্পতিবারই এই বিষয়ে পর্যালোচনা করতে একটি বৈঠক করেন দিল্লির বিদ্যুৎ মন্ত্রী। বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। একইসঙ্গে এই সমস্যার কথা জানিয়ে কেন্দ্রের কাছেও চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিল্লির বিদ্যুৎমন্ত্রী। দিল্লিতে কয়লা মজুদ করার বিষয়টি নিশ্চিত করার ব্যাপারেও অনুরোধ জানিয়েছেন সত্যেন্দ্র জৈন। এই বৈঠকের পরেই ঘোষণা করা হয়, ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা ঘাটতি থাকতে পারে রাজধানী দিল্লিতে। এর ফলে রাজধানীর সরকারি হাসপাতাল থেকে দিল্লি মেট্রো, পাওয়ার কাট হতে পারে একাধিক জায়গায়।
দিল্লির বিদ্যুৎ সংকটের কারণ প্রসঙ্গে ওই সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, রেলওয়ে রেকের সমস্যার কারণেই এই ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন,”আগে ৪৫০টি রেক ছিল কিন্তু, এখন সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ৪০৫টি। কেন্দ্রের সঙ্গে ঠিকমতো বোঝাপড়া হলেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।”
উল্লেখ্য, দিল্লির পাশাপাশি কয়লার ঘাটতি রয়েছে দেশের আরো দুই রাজ্য উত্তর প্রদেশ এবং পাঞ্জাবে। ওই দুই রাজ্যতেও কয়লার ঘাটতি সমস্যা না মিটলে তৈরি হতে পারে বিদ্যুৎ সংকট। ব্যাহত হতে পারে বিদ্যুৎ পরিষেবা।
এদিকে দিল্লির এই চরম বিদ্যুৎ সংকটের পরিস্থিতিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, রাজ্য কোনরকমে এই সংকটের মুহূর্তে এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে, কিন্তু এটি একটি কঠিন পদক্ষেপ। পরিস্থিতি সমাধানের জন্য অবিলম্বে প্রয়োজন কয়লা। এ প্রসঙ্গে ট্যুইট করে তিনি আরো বলেন, “পুরো ভারতের পরিস্থিতি ভয়াবহ। আমাদের সম্মিলিতভাবে শীঘ্রই একটি সমাধান নিয়ে আসতে হবে। এই পরিস্থিতির সমাধানের জন্য অবিলম্বে কঠিন পদক্ষেপ প্রয়োজন।”