টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার এক অধ্যাপককে জাতীয় কমিশন ফর মাইনরিটি এডুকেশনাল ইন্সটিটিউশনে (এনসিএমইআই) সদস্য পদ দেওয়া ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছেন। অভিযোগ– স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে এই নিয়োগে। এরপর কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে আদালত। পাশাপাশি কেন্দ্র সহ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া– এনসিএমইআই ও জামিয়ার অধ্যাপক ড. শাহীদ আখতারের কাছে নোটিশও পাঠানো হয়েছে।
ছয় সপ্তাহের মধ্যে জবাবি এফিডেভিট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলাকারী ওই গবেষকের প্রশ্নের প্রতু্যতর দিতে আরও দুই সপ্তাহ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত– জেএনইউয়ের গবেষকের দাবি– কোনও বিজ্ঞপ্তি না জারি করেই অধ্যাপক আখতারকে নিয়োগ করা হয়েছে। এই নিয়োগে নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।
পিটিশনে বলা হয়েছে– ঘটনাটির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সংবিধানের ১৪ ও ১৬ ধারার। সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে দেশের সকল নাগরিকের সমান সুযোগ পাওয়ার অধিকারকে নিশ্চিত করে এই ধারাগুলি। যাইহোক– পিটিশনে বলা হয়েছে– কোনওরকম ‘সার্চ কমিটি’ গঠন না করেই নিযুক্ত করা হয়েছে জামিয়ার অধ্যাপককে। মামলাকারীর আইনজীবী অমিত জর্জ ও ইরম পিরজাদা সুর চড়িয়েছেন আদালতে। তাঁদের মতে– এই নিয়োগ ধোঁয়াশাপূর্ণ ও অসঙ্গত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি।
সংবাদ সূত্র- পুবের কলম পত্রিকা