ইব্রাহিম মণ্ডল, টিডিএন বাংলা, কলকাতা : : কৃষক আন্দলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দেশ জুড়ে পাতিল হচ্ছে ‘কিষাণ বিজয় দিবস’। তাই এরাজ্যেও ‘কিষাণ বিজয় দিবস’ পালন করলো সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। আন্দোলনরত আবস্থায় মারা যাওয়া শহীদ কৃষকদের আত্মার শান্তি কামনা করে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে দুপুর ১টায় সমাবেশ শুরু হয় এবং সেখানে কৃষক সংগঠন গুলি সংহতি জানাতে এসে বক্তব্য রাখেন। মোদির কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের জয়োচ্ছাস এবং ৭০০ জন কৃষকের মৃত্যুর প্রতিবাদ জানানো হয় এদিন। এরপর বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে শুরু হয় মিছিল। ওয়াই চ্যানেল থেকে মিছিল শুরু হয়ে শিয়ালদাহ পর্যন্ত যায়। মিছিলে দাহ করা হয় মোদির কুশপুতুলও। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই মিছিলকে সংহতি জানাতে আসেন বিভিন্ন সংগঠন। বলতে গেলে কৃষক আন্দোলনের বর্ষপূর্তি, সংযুক্ত কিষান মোর্চার ডাকে দিনভর মিছিল-সভায় মাতল বাংলা।
জনসভায় বিভিন্ন কৃষক, খামার-শ্রমিক, শ্রমিক, ছাত্র-যুব ও গণতান্ত্রিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। দিল্লিতে চলা এক বর্ষব্যাপী আন্দোলনের সময় মৃত ৭০০ কৃষক শহীদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনও করা হয় এদিন। অন্যদিকে কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় মিছিল বের করা হয়। এদিন জয় কিষান আন্দোলনের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিক সাহা কৃষকরা যাতে তাদের ন্যায্য অধিকার পায় তা নিশ্চিত করতে একটি নতুন কৃষি আইন ও কৃষি কমিশন গঠনের দাবি তোলেন। একইসঙ্গে তিনি আরও জানান, “গণতন্ত্রে মানুষের কথাই শেষ কথা, অহংকারী বিজেপি সারকারকে কৃষকরা বোঝাতে পেরেছে যে মানুষের কথা না শুনলে ক্ষমতায় থাকা যায়না।” কিষাণ বিজয় দিবসে তুষার ঘোষ দাবি তুললেন, “শুধু আইন বাতিলই যথেষ্ট নয়, সব ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।”
উক্ত জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, জয় কিষান আন্দোলনের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিক সাহা, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, তুষার ঘোষ, অনাদি সাউ, সৃজন ভট্টাচার্য সহ প্রমুখ। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানালেও কৃষকরা বিক্ষোভে অনড়। কৃষক নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত সংসদে কৃষিবিল প্রত্যাহার হচ্ছে এবং কৃষকদের অন্যান্য দাবিগুলিও মানা হচ্ছে ততক্ষণ এই আন্দোলন চলতে থাকবে।’