টিডিএন বাংলা ডেস্ক : বুলডোজার চালিয়ে কারও দোকান বা ঘর ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া সম্পূর্ণ সংবিধান ও আইন বিরোধী, এমনই দাবি জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে আর্জি জানালো জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দ নামে একটি মুসলিম সংগঠন। এই ধরনের ‘বুলডোজার বিচার’- মানবতা বিরোধী, অপরাধ দমনের নামে বিভিন্ন রাজ্যে চালু হওয়া এমন অমানবিক স্বৈরাচারী বিচার বন্ধে সর্বোচ্চ আদালত হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন বলেই মনে করছে জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দ।
উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি রাম নবমীর মিছিলে হামলা করার অভিযোগে মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাত সরকার অভিযুক্তদের ঘরবাড়ি ও দোকানপাট বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। তবে মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাত সরকারই প্রথম নয়। ইতিপূর্বে উত্তরপ্রদেশর বিজেপি সরকার অপরাধী দমনের নামে এই ধরনের অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত হয়েছে। কোন আইন এই ভাবে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়ার অনুমতি দেয় প্রশ্ন তুলেছে ওই সংগঠনটি। কীভাবে অভিযুক্তরা আদালতে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই তাদের বাড়িঘর, দোকান, অফিস বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দিতে পারে প্রশাসন সেই প্রশ্নও তুলেছে তারা। তাছাড়া যদিও তারা সত্যিকারের দোষী হয় তাহলেও এই ভাবে দোকান-ঘর ভেঙে দেওয়া সংবিধান ও আইন বিরোধী বলে প্রতিবাদ করেছে সংগঠনটি।
জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দের সভাপতি আরশাদ মাদানি এক টুইট বার্তায় অভিযোগ করেন, এই বুলডোজার বিচার একটি ভয়ংকর রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে যাদের দোকান-ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে তাদের প্রায় প্রত্যেকেই সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। আর যে তিন রাজ্যে (উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাত) এই বিতর্কিত বুলডোজার বিচার কার্যকরী হয়েছে সেগুলি সবই বিজেপি শাসিত রাজ্য।