কৃষকদের জন্য কিছুই করেননি, শুধু রাজনৈতিক স্বার্থের কথা ভাবছেন, আপনার লজ্জা নেই? কেজরিওয়ালকে আক্রমণ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: কেন্দ্রের নয়াকৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে লাগাতার দিল্লির সীমান্তে বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছেন কৃষক সংগঠনের সদস্যরা। রবিবার সেই সেই আন্দোলনের ১৮ তম দিন ছিল।আজ সারা দেশ জুড়ে বিভিন্ন হেডকোয়ার্টার্স এর সামনে অবস্থান বিক্ষোভ এর পাশাপাশি গণ-অনশনে ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। এর পাশাপাশি দিল্লি-আগরা এবং দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে অবরোধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা।

একদিকে যখন উত্তরাখণ্ডের কৃষকরা কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের সমর্থন করে রবিবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তখন অপর দিকে রাজস্থানের শাহজাহানপুর থেকে কয়েক হাজার কৃষক দিল্লির উদ্দেশ্যে ফ্যাক্টরি শুরু করার ঘোষণা করেছেন। এই পরিস্থিতিতে কৃষক আন্দোলন কে সমর্থন করে আজ অনশনে বসার কথা ঘোষণা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শুধু তাই নয় নিজের দলের সদস্যদের পাশাপাশি আমজনতাকেও কৃষকদের এই আন্দোলনে যোগদান করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রবিবার একটি ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে আরবিন কেজরিওয়াল বলেন,”কেন্দ্রের অহঙ্কার ত্যাগ করে কৃষকদের দাবি মেনে নিয়ে নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার করা উচিত এবং কৃষিপণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার জন্য একটি বিল আনা উচিত।”

এদিকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই মন্তব্যের পরেই আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তীব্র আক্রমণ করে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং বলেছেন,”দিল্লিতে কেজরিওয়াল সরকার কর্পোরেট সংস্থাগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলছে। অন্যদিকে, পঞ্জাব সরকার আদানি পাওয়ার সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেনি। রাজ্যে বিদ্যুৎ কেনার জন্য বেসরকারি সংস্থাগুলি দরপত্র জমা দিচ্ছে কি না, সেটাও পঞ্জাব সরকারের জানা নেই। কৃষকরা যখন কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই কেজরিওয়াল সরকার নির্লজ্জের মতো গত ২৩ নভেম্বর একটি কালো আইন জারি করে। আর এখন তারা নাটক করছে। সোমবার তারা কৃষকদের অনশনকে সমর্থন করে অনশনে বসবে বলছে। আপনার কি কোনওরকম লজ্জা নেই? যখন আমাদের কৃষকরা ঠান্ডা উপেক্ষা করে আপনার শহরের বাইরে রাস্তায় পড়ে আছেন, অধিকারের দাবিতে অনেকের মৃত্যুও হচ্ছে, তখন আপনি শুধু রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার কথা ভাবছেন। যে কৃষকরা এতদিন ধরে ন্যায়বিচারের দাবিতে আপনার শহরের বাইরে বসে আছেন, তাঁদের সাহায্য জন্য উপযুক্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে আপনি ও আপনার দল রাজনীতি করতে ব্যস্ত।”