উত্তরপ্রদেশে দলিত পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ, প্রধান শিক্ষিকা বহিষ্কার

Screengrab from a video showing children washing their utensils at the handpump. Several people have shared the video claiming that the children who were made to wash their own utensils belong to the Scheduled Castes.

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : সরকারি স্কুলে দলিত পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। চাপে পড়ে তড়িঘড়ি স্কুলের দুই রাঁধুনিকে বরখাস্ত করেছে প্রশাসন। জবাব তলব করা হয় প্রধান শিক্ষিকার কাছে। উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায়, তাকেও বহিস্কৃত করা হয়েছে।

মৈনপুরী জেলার দাউদপুর গ্রামের একটি স্কুল। অভিযোগ ওঠে, ওই স্কুলে তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের মিড-ডে-মিল খাওয়ানোর আলাদা ব্যবস্থা। তাদের এঁটো বাসন ধুতে হবে ওই সব খুদে পড়ুয়াদেরই। উচু জাতের থালাবাসনের সঙ্গে সেই থালা-বাসন রাখা যাবে না। অভিযোগ, এমনই একটি অলিখিত নির্দেশিকা ছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি শোরগোল পড়তেই তদন্তে নামে জেলা প্রশাসন। জেলার মুখ্য উন্নয়ন আধিকারিক বিনোদ কুমার স্কুল পরিদর্শন করেন। সেই সময় স্কুলের দুই রাঁধুনী দলিতদের থালা-বাটি পরিষ্কার করতে অস্বীকার করেন। রিপোর্ট পাঠানো হয় জেলাশাসক মহেন্দ্র বাহাদুর সিং এর কাছে। এরপরই তাদের উপর নেমে আসে শাস্তির খাঁড়া।

পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ কেন? এই উত্তর জানতে চেয়ে নোটিশ ধরানো হয়েছে প্রধান শিক্ষিকাকেও। জবাব ঠিকঠাক না পাওয়াতে বহিস্কৃত করা হয় তাকেও। এমনই খবর সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। তবে এরজন্য সমালোচনার হাত থেকে রেহাই পায়নি রাজ্য সরকার। বিরোধীরা বলছেন, সামনে ভোট। তাই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। অথচ এখনও রাজ্যের অনেক স্কুলেই এই ধরনের আচরণ করা হয়ে থাকে।