টিডিএন বাংলা ডেস্ক : একের পর এক লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে সরকারি চাকরি বলে আদৌ কিছু থাকবে কি? দেশের কোটি কোটি বেকার যুবকের ভবিষ্যৎ কী? এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলের কোনও নেতা নয়। প্রশ্নকর্তা স্বয়ং বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধি। ঘটনাচক্রে শুক্রবার লোকসভাতে ঠিক একই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ নুসরাত জাহান। বিলগ্নীকরণ- এর তীব্র বিরোধিতা করে নুসরাত বলেন, সংসদে এ সম্পর্কে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী। লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সম্পর্কে কেন্দ্র ঠিক কী ভাবছে, তা জানাতে বলেন এই সাংসদ।
বুধবারই রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধি দীর্ঘদিন ধরে রেলের নিয়োগ পরীক্ষা না হওয়ার জন্য কেন্দ্রকে নিশানা করেছিলেন। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই একই সুর শোনা গেল পদ্ম সাংসদের গলায়। বরুণের কথায়, গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষিত যুবক যুবতীদের একটা বড় অংশ সরকারি চাকরির ওপর নির্ভর করে। সবথেকে বেশি নিয়োগ হয় রেল, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা এবং পুলিশে। উল্লেখযোগ্যভাবে এখন কোনও সরকারি চাকরিই নেই। বরুণ গান্ধির এই মন্তব্যকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সরকারি ক্ষেত্রে নতুন নিয়োগ না হওয়ার পেছনে উঠে আসে নানা বিতর্কিত বিষয়। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া কিংবা পরীক্ষা হলেও দীর্ঘদিন তার ফল প্রকাশ হয় না। যোগী রাজ্যে ১৭ বার পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। বরুণের অভিযোগ, ১ কোটি ২৫ লাখ ভারতীয় যুবক গ্রুপ ডি চাকরির পরীক্ষার ফলের জন্য ২ বছরের বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করছেন। উত্তরপ্রদেশে ১৭ বার পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। সেনাবাহিনীতে কোনও নিয়োগ হয়নি। এটা দুর্নীতি ছাড়া আর কী!
বরুণের এই মন্তব্যে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। কারণ রেলের গ্রুপ ডি পরীক্ষার বিজ্ঞাপন আড়াই বছর আগে বেরিয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা কবে তা কেউ জানে না। বরুণের মতই দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন বিজেপির আরেক সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। বুধবার তিনি অভিযোগ করেছিলেন, চিনের অনুপ্রবেশ নিয়ে তাকে সংসদে কিছু বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। একইভাবে শুক্রবার বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান সংসদে বেসরকারিকরণ ইস্যুতে চেপে ধরে সরকারকে। নুসরাত বলেন, লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে সরকার কোষাগার ভরাতে চাইছে। কিন্তু কেন লাভজনক সংস্থার উপর এই আক্রমণ? বেসরকারিকরণ করতে হলে, রুগ্ন সংস্থাগুলিকে বিক্রি করে পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগ নেওয়া হোক।