টিডিএন বাংলা ডেস্ক : প্রশাসন মিথ্যে কথা বললে, সেটার পর্দাফাঁস করা বুদ্ধিজীবীদের কর্তব্য। ভুয়ো খবর বা মিথ্যে তথ্য থেকে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে প্রশ্নের মুখে ফেলা দরকার। রাষ্ট্র যেটা বলছে সেটাকে সত্য বলে বিশ্বাস করবেন না। বড় প্রশ্ন করুন। বক্তব্যে কোথাও ভারতের প্রসঙ্গ উল্লেখ না করেও গণতন্ত্র রক্ষায় এমনই তাৎপর্যপূর্ণ মত দিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
কোভিড পরিস্থিতি সামাল দেওয়া থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি। তার সঙ্গে রয়েছে কৃষক বিক্ষোভ। এইসব নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনায় জেরবার কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের বিরুদ্ধে উঠেছে মিথ্যে বলার অভিযোগও। এই পরিস্থিতিতে একটি ওয়েবিনারে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “গণতন্ত্র ও সত্যি হাত ধরে চলে। গণতন্ত্র বাঁচাতে, সত্য বাঁচিয়ে রাখা দরকার। মনে রাখতে হবে প্রশাসনকে প্রশ্নের মুখে ফেলে সত্যকে তুলে ধরা প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য।”
বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেছে কোভিডে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যা দেওয়া হচ্ছে, তার থেকে ঢের বেশি। এই পরিস্থিতিতে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “রাষ্ট্র যেটা বলছে সেটাকেই সত্য বলে বিশ্বাস করবেন না। প্রশ্ন করুন। স্বেচ্ছাচারী সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য ক্রমাগত মিথ্যার উপর ভরসা করে। এটা প্রমাণিত।” বর্তমানে ভুয়ো খবরের বাড়বাড়ন্ত। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “ফেক নিউজ ছড়ানোর প্রবণতা বাড়ছে। কোভিড কালে তা আরও বেড়েছে। সেটা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষায় স্পষ্ট। কিন্তু এই খবরগুলো অধিকাংশই মিথ্যে। মানুষকে সচেতন হতে হবে। সব কিছু পড়া, কোনও বিষয় নিয়ে বিতর্ক করা, ও ভিন্ন মতকে গ্রহণ করার মানসিকতা থাকতে হবে। আমরা ভিন্নমত শুনতে পছন্দ করি না। শুধু এমন সংবাদপত্র পড়ি যা আমাদের মতাদর্শকে সমর্থন করে। ভিন্ন মতাদর্শের কারও লেখা পড়ি না। কেউ ভিন্নমত কথা বললে টিভি বন্ধ করে দিই। ভুয়ো খবর আটকাতে আমাদের জন-প্রতিষ্ঠানগুলোকে জোরদার করতে হবে। এমন সংবাদ মাধ্যম প্রয়োজন যা রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কোনও চাপের কাছে মাথা নত করবে না।”