HighlightNewsরাজ্য

রোজার মাসে ব্যাপক আগ্রহে মসজিদে মসজিদে কোরআন শিখছে শিশুরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, টিডিএন বাংলা, নদীয়া:বিশ্ব জুড়ে চলছে আত্মশুদ্ধির মাস মাহে রমজান। পবিত্র এই রোজার মাসেই মানবজাতির জীবনবিধান হিসেবে অবতীর্ণ হয় আল-কোরআন। আর এই মাসে কোরআন পাঠের মধ্য দিয়ে ইসলামের আদর্শে বড়দের পাশাপাশি নিজেদের গড়ে তুলছে শিশুরাও। করিমপুরের বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে ইমাম সাহেবরা বিনামূল্যে দিচ্ছেন কোরআন শিক্ষার প্রশিক্ষণ। তবে শুধু মসজিদেই নয়, দেখা গেছে অনেক বাড়িতে টিউশনি দিয়েও অভিভাবকরা শিশুদের কোরআন শেখাচ্ছেন।

ওরা কেউ প্রাথমিকের, কেউবা হাই স্কুলের পড়ুয়া। সব দিন রোজা রাখতে না পারলেও ওরা বাবা মায়ের সঙ্গে সেহেরি খেতে ঠিক উঠে পড়ে।
খাবার পর আর না ঘুমিয়ে সূর্য উঠতেই ওরা রওনা দেয় মসজিদে। সেখানে আনন্দের সাথে আরবীর পাশাপাশি বাংলাতেও কোরআন শেখে কচিকাঁচারা। ঘন্টা খানেক ক্লাসের পর ওরা যে যার মত যাচ্ছে টিউশনে, স্কুলে।

বারবাকপুর মধ্যপাড়া জুম্মা মসজিদের ইমাম ক্বারী আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, ‘শুধু রোজার মাস বলেই নয়, গত সাড়ে তিন বছর থেকে আমি এখানে কোরআন পড়াচ্ছি। সারাদিনই বিভিন্ন ব্যাজ চলে। বড়রাও আসে। তবে সকালে ছোটদের আগ্রহ উদ্দীপনাটা সব চেয়ে বেশি।’ একই অভিজ্ঞতার কথা বলছেন পিপুলখোলা, মুরুটিয়া, হোগলবেড়িয়া, সিঙ্গিডাঙা, সাদিপুর, চর-নবীগঞ্জ, বাজিতপুর, মালিয়ানতলা, গমাখালী, করিমপুর প্রভৃতি এলাকার মসজিদের ইমামরাও।

পার্শ্ববর্তী ডোমকলের বাসিন্দা মুফতি জুলফিকার। যার নেতৃত্বে করিমপুর, মুরুটিয়া, হোগলবেড়িয়া এই তিন থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ৬২ টি কোরআন শিক্ষার সেন্টার চলে। যেখানে ৪০জন শিক্ষকের কাছে প্রায় ২৫০০ শিশু কোরআন শেখে। তিনি বলছিলেন, ‘স্কুলে পড়াশুনার পাশাপাশি ছোট থেকেই ইসলামের শিক্ষাটাও জরুরি, যাতে ওরা নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে পারে। তাই এলাকায় এলাকায় গিয়ে অভিভাবকদের আমরা সচেতন করি যাতে তারা সন্তানদের কোরআন শিখতে মসজিদে পাঠায়, তাতে আমরা ভালোই সাড়া পাচ্ছি।’ আর এভাবেই রোজার মাসে নামাজ-কোরআন পাঠের মধ্য দিয়ে ইসলামের আদর্শে বড়দের পাশাপাশি নিজেদের জীবন গড়ে তুলছে শিশুরাও।

Related Articles

Back to top button
error: