টিডিএন বাংলা ডেস্ক: সিসদিয়াকে আদালতে পেশ করেছে। উল্লেখ্য, মণীশ সিসোদিয়াকে ২৬শে ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করে সিবিআই। বর্তমানে তিনি তিহার জেলে রয়েছেন। দিল্লির মদ নীতি মামলায় এদিন ধৃত মণীশ সিসোদিয়ার ১০ দিনের রিমান্ডের দাবি জানিয়েছে ইডি। সিসোদিয়াকে নিয়ে দুপুর ২টায় দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে পৌঁছয় ইডি। এরপর বিশেষ বিচারক এম কে নাগপাল ইডির রিমান্ডের শুনানি শুরু করেন।
আদালতে ইডির পক্ষে এদিন সওয়াল করেন অ্যাডভোকেট জোহেব হুসেন। ইডি জানিয়েছে, মদ নীতি মামলায় আরও ৭ জনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে যাতে তাদের সিসোদিয়ার মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়। তাই, আমরা সিসোদিয়ার ১০ দিনের রিমান্ড চাইছি।
এদিন আদালতে ইডির দাবি, সিসোদিয়ার প্রতিনিধি কে কবিতার সাথে দেখা করেন। ইডি-র আইনজীবী জোহাইব হুসেন বলেন, ‘সিসোদিয়ার সহকারী বিজয় নায়ার এই পুরো ষড়যন্ত্রের সমন্বয় করছিলেন। এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে সরকারি যন্ত্রপাতি, মধ্যস্বত্বভোগী সহ আরও অনেকে জড়িত। এই ষড়যন্ত্রে নায়ার, সিসোদিয়া, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে কবিতা এবং আরও অনেকে সামিল ছিলেন।
আদালতে ইডি এদিন আরো জানিয়েছে, ‘দক্ষিণ গ্রুপ এএপি নেতাদের ১০০ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছে। একটি দল তৈরি করা হয়েছিল যাতে দিল্লিতে ৩০% মদের ব্যবসা চালানো যায়। নথিগুলি দেখায় যে নায়ার সিসোদিয়ার প্রতিনিধি হিসাবে কবিতার সাথে দেখা করেছিলেন। নায়ার কবিতাকে বলতে চেয়েছিলেন কীভাবে সিসোদিয়া মদের নীতিকে প্রভাবিত করতে পারেন।
এদিন আদালতে ইডির পক্ষের আইনজীবী আরো বলেন, ‘এক বছরের মধ্যে ১৪টি ফোন ব্যবহার করা হয় এবং বদলানো হয়। সেগুলোও ভেঙে ফেলা হয়। সিসোদিয়া এমন ফোন ব্যবহার করতেন যা অন্যরা কিনেছিল। সিম কার্ডটিও সিসোদিয়ার নামে ছিল না যাতে পরে তিনি এটিকে তার আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
ইডির যুক্তি, ‘এমনকি একটি ফোনও সিসোদিয়ার নামে ছিল না। একটি সিম কার্ড ছিল দেবেন্দ্র শর্মার নামে। এ থেকে বোঝা যায় এই মামলায় প্রমাণ ব্যাপক হারে নষ্ট করা হয়েছে। আপনি নিজেই দেখুন কেন আমরা সিসোদিয়ার হেফাজত চাই।’
অন্যদিকে, সিসোদিয়ার আইনজীবী দয়ান কৃষ্ণান এদিন আদালতে জানান, ‘ইডি বলছে যে এই নীতি ভুল। একটি নির্বাচিত সরকার এই নীতি তৈরি করেছে। এটি অনেক স্তরের মধ্য দিয়ে যায়। এটা সরকারের কাছে যায়, কর্মকর্তাদের কাছে যায়। অর্থ ও আইন সচিবের কাছে যায়। এই নীতি লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘এই মদের নীতি লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে গেছে। এলজি মানে কেন্দ্রীয় সরকার। তারা ৩টি জিনিস জিজ্ঞাসা করেছিল, কিন্তু সেগুলির কোনওটিই লাভ মার্জিন বা যোগ্যতার সাথে সম্পর্কিত ছিল না। ইডি তাড়াহুড়ার কথা বলছে। তাড়াহুড়ো করে এমন অনেক উদাহরণ দিতে পারি। নোটবন্দি করা হয়েছিল এবং সুপ্রিম কোর্টও এটিকে সাংবিধানিক ঘোষণা করেছিল।
সিসোদিয়ার পক্ষের আইজীবি আরো বলেন, ‘ইডি বলছে বিজয় নায়ার সিসোদিয়ার পক্ষে কাজ করছিলেন। ইডি এখনও পর্যন্ত এমন কিছু খুঁজে পায়নি যাতে সিসোদিয়াকে এক টাকাও পাঠানো হয়েছে। কেন তিনি এখনও তাই করেননি? নথি দেখুন। ইডি সব জায়গায় বলছে, আমরা শুনেছি, আমরা শুনেছি।
সিসোদিয়ার দ্বিতীয় আইনজীবী মোহিত মাথুর বলেন, আজকাল এটা একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে তদন্তকারী সংস্থাগুলি তাদের অধিকার বিবেচনা করে মানুষকে গ্রেপ্তার করছে। সময় এসেছে, এ ধরনের মামলায় আদালতকে কঠোরভাবে কাজ করতে হবে।