টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ দীর্ঘ এক বছর পর তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের’ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। এই বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উপস্থিত ছিলেন ‘সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের বাছাইকৃত নেতৃবৃন্দ। তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্বয়ং এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিনি সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, “রাজ্য সরকার জনগণের সুবিধার জন্য ‘দুয়ারে সরকার’, ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এই কর্মসূচিতে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ উপকৃত হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারি বা বেসরকারী কর্মীরা যেন অর্থের জন্য বা অন্য কোনো কারণে কারও কাজ আটকে না রাখেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনব কর্মসূচি বাস্তবায়নের দায়িত্ব কর্মীদের।” কোন রকমের দুর্নীতি যে বরদাশত করা হবে না তিনি সে বিষয়ে সতর্ক করে দেন। উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বে রাজ্য ‘সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের’ দায়িত্বশীল ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তিনি বিজেপিতে যোগদান করায় তাকে পদ থেকে অপসারিত করা হয়। এরপর থেকে আর কোনো উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি বা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে তৃণমূল কংগ্রেস আগামী লোকসভা নির্বাচন ও বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় ধরনের সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সেই সাংগঠনিক সংস্কার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের’ সংস্কার ও পুনর্গঠন এর কাজ শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই দিনের বৈঠকে রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হন দীবেন্দু রায়। এছাড়া জেলা সভাপতিদের নামও ঘোষণা করা হয় এই বৈঠকে। রাজ্য বা জেলা কোথাও পূর্ণাঙ্গ কমিটি নাই। তাই খুব দ্রুত রাজ্য ও জেলা কমিটি নির্বাচন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যারা রাজনীতি থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছিল বা অন্য দলে যোগ দিয়েছিলেন তাদের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ভিন্ন দলে যোগ দেওয়ার পর যারা আবার দলে ফিরে এসেছে বা যারা রাজনীতি থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছিল তাদের কে আবার গ্রহণ করতে হবে তাদেরকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে হবে।”