Highlightআন্তর্জাতিক

তুরস্কের দখলে সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তের অধিকাংশ এলাকা: এরদোগান

১৩ জুন, টিডিএন বাংলা ডেস্ক : তুর্কী- সিরিয়ান সিমান্তে তুরস্কের দক্ষিণ প্রদেশ কিলিসে একটি খাল উদ্বোধনকরা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘সিরিয়ার ভবিষ্যত উজ্জ্বল করতে আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং রাজনৈতিক একতা ধরে রাখতে হবে। আমরা সিরিয়ার অখন্ডতা ও শান্তি রক্ষার জন‍্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব।

তিনি আরো বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছি তার মধ্যে অন্যতম সেরা কাজ -‘উত্তম বোঝাপড়া’। আমরা ২০২৩ সালের টার্গেট বাস্তবায়নের কাছাকাছি রয়েছি। আমারা ‘শক্তিশালী’ তুরস্ক নির্মাণের প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়ন করবো। তুরস্কের সকল বন্ধু এবং প্রতিবেশি রাষ্ট্র আমাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে।

তুরস্কের সর্বাধিক জনপ্রিয় সংবাদপত্র ডেইলি হুরিয়াতের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্ক ‘ইউফ্রেটস শিল্ড’ নামে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন এই এস এস এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে। এই সফল অভিযানের ফলে নিরাপদে সিরিয়ায় ফিরতে সক্ষম হয় ঘর হারা লাখ লাখ সিরিয়ান মানুষ।

আইএসএস, পিকেকে গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তুরস্ক আরও দুটি সফল অভিযান চালিয়েছে। ২০১৮ সালে অলিভ ব্রাঞ্চ এবং ২০১৯ সালে পিস স্প্রিং। এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিকেকের পিপলস প্রটেকশন ইউনিটকে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত থেকে হঠিয়ে দেওয়া।

তুরস্ক বেশ কিছু বৈদেশিক ও অভ‍্যন্তরিন স্বার্থের কারণে সিরিয়া যুদ্ধে একেবারে প্রথম থেকেই জড়িয়ে পড়ে। এগুলির মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হল-

প্রথমত, সিরিয়ার সাথে তুরস্কের দীর্ঘ সীমান্ত আছে। তুরস্ক চায় সিরিয়ার তুর্কী সিমান্তবর্তী এলাকা সন্ত্রাসী মুক্ত করে সেখানে একটি শান্তিপূর্ণ বসতি গড়ে তুলতে। যাতে যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলে সেখানে স্থানান্তরিত করা যায়। কারণ ইতিপূর্বে তুরস্ক প্রায় ৩৭ লাখ সিরিয়ান অভিবাসীকে আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের দেশে আর কাউকে আশ্রয় দেবার জায়গা নেই।

দিত্বীয়ত, প্রেসিডেন্ট এরদোগান হলেন ইসলামপন্থী, অন্য দিকে বাশার আল আসাদ মুসলিম হলেও ইসলামপন্থী নন। বিশেষ করে তার স্বৈরাচারী ইসলাম বিরোধী শাসনের ফলে মানুষ তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করলে তিনি ইসলামপন্থী শাসকদের ক্ষমতায় আনতে সচেষ্ট হন। যদিও পরবর্তীতে এই যুদ্ধকে ইসরাইল ও পশ্চিমা দেশগুলি নিজেদের স্বার্থে ব‍্যবহার করলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়।

তৃতীয়ত , আরও একটি গভীর কারণ হলো সিরিয়ায় যে কুর্দি জনগোষ্ঠী আছে তারা যেন বাশার আল আসাদবিরোধী। বিদ্রোহের সুযোগে তুরস্ক সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে না পারে – সেই চেষ্টা করে চলেছে তুরস্ক। তুরস্ক চায়, সীমান্ত এলাকা থেকে কুর্দিদের তাড়িয়ে অন্য প্রায় ২০ লাখ সিরিয়ানদের সেখানে পুনর্বাসিত করতে।

Related Articles

Back to top button
error: