টিডিএন বাংলা ডেস্ক: হায়দ্রাবাদে আয়োজিত বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী সভার পর প্যারেড গ্রাউন্ডে সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এদিন অমিত শাহ তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, কেসিআর তেলেঙ্গানার উন্নয়ন চায়না। অমিত শাহের দাবি, তেলেঙ্গানার সরকার কেসিআর-এর হাতে হলেও আদতে সরকার চালাচ্ছে ওয়েসি। হায়দ্রাবাদের সাংসদ তথা এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েসিকে ভয় পান কেসিআর। তাই, ক্ষমতায় আসার ৮ বছর পরেও তেলেঙ্গানায় এখনো পর্যন্ত পালিত হয়নি হায়দ্রাবাদ বিমোচন দিবস।
এদিন অমিত শাহ কেসিআর-এর বিরুদ্ধে রাজ্যের বেকার যুবকদের প্রতারণা করার অভিযোগ তুলে বলেন,”টিআরএস-এর স্থাপনা তেলেঙ্গানা রাজ্যের দাবির জন্য হয়েছিল। সেসময় তেলেঙ্গানার জনতা নিলু, নিদুলু আর নিয়মাকালু এই তিন সূত্র দিয়েছিল। তেলেঙ্গানা মানুষ জবাব দিক নিলু, নিদুলু, নিয়মাকালু তাঁরা পেয়েছেন কিনা? ভাই কেসিআর, ৮ বছর ধরে গদিতে বসে আছো বেকার যুবকদের চাকরি দিয়েছ? কেসিআর এর মনে যুবকদের চাকরি দেওয়ার অর্থ হল, কেটিয়ারের রোজগার, আপনাদের নয়। ওরা আপনাদের রোজগারের চিন্তা করে না।”
এরপরে তেলেঙ্গানার সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে অমিত শাহ দাবি করেন, তেলেঙ্গানার সরকার কেসিআর-এর হাতে থাকলেও স্টিয়ারিং রয়েছে ওয়েসির হাতে। অমিত শাহ বলেন, “কেসিআর এর পার্টির চিহ্ন কি? গাড়ি তো? কেসিআর এর চিহ্ন গাড়ি, সরকার গাড়ির কিন্তু এর স্টিয়ারিং ওয়েসির হাতে আছে। আপনারা বলুন, যে সরকারের স্টিয়ারিং ওয়েসির মত জাতিবাদি লোকেদের হাতে রয়েছে সেই সরকার জনতার সেবা করতে পারে কি?”
অমিত শাহ আরো বলেন, “যখন তেলেঙ্গানা নিয়ে আন্দোলন চলত তখন কেসিআর বলত, আমরা হায়দ্রাবাদ বিমোচন দিবস পালন করব। বলুন, ভাগ্যনগরের (হায়দ্রাবাদের) বাসিন্দারা হায়দ্রাবাদ বিমোচন দিবস কেসিআর পালন করেছে কি? কেসিআর বলুক কেন পালন করেনি। আপনারা কি বলবেন আমি বলছি। ওরা হায়দ্রাবাদ বিমোচন দিবস পালন করে না কারণ ওরা ওয়েসিকে ভয় পায়।”
শুধু তাই নয়, অমিত শাহের দাবি কোন এক তান্ত্রিকের কথা মেনেই নাকি আজ পর্যন্ত কেসিআর সচিবালয়ে যাননি। অমিত শাহ বলেন, “আট বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন কেসিআর। কখনও সচিবালয় গিয়েছেন কি? কেন যান না? আমি আপনাদের বলছি এক তান্ত্রিক বলেছিল যদি সচিবালয়ে যান, তাহলে সরকার পড়ে যাবে। আমি তেলেঙ্গানার যুবকদের কাছে প্রশ্ন করতে চাই যারা তান্ত্রিকের কথা মেনে জনতার কল্যাণের জন্য সচিবালয় যায় না তার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অধিকার আছে কি?”
বিজেপির ওই জাতীয় কার্যনির্বাহী সভা থেকে শুধুমাত্র তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরকেই নয়, কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেন অমিত শাহ। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক লাভের জন্য অন্ধ্রপ্রদেশকে ভাগ করে, তিক্ততার বীজ বপন করেছিল কংগ্রেস। আর সেই তিক্ততাকে উস্কে দিয়ে সরকার গঠন করেছিল কেসিআর। আজ দুই রাজ্যেই (অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা) তিক্ততা রয়েছে এর সবচেয়ে বড় কারণ কেসিআর নিজেই।