HighlightNewsরাজ্য

কালবৈশাখীর দাপটে ব্যাপক ক্ষতি কৃষিকাজে, মাথায় হাত কলা চাষীদের, মৃত ১

নিজস্ব প্রতিনিধি, টিডিএন বাংলা, নদীয়া:কালবৈশাখীর দাপটে তছনছ হয়ে গেল নদিয়ার করিমপুরের বিভিন্ন এলাকা। শুক্রবার বিকেলে ঘরের উপর গাছ ভেঙে কৃষ্ণপদ হালদার নামে ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবরও মিলেছে। জানা গেছে, মৃত ওই ব্যক্তির বাড়ি মুরুটিয়া থানার ফুলখালী গ্রামে।

অন্যদিকে হঠাৎ ঝড়ের তান্ডবে বিঘার পর বিঘা কলা গাছ ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের। আর তাতেই মাথায় হাত পড়েছে কলা চাষীদের। কালোবাজার থেকে চড়া দামের সার বিষ দিয়ে মুরুটিয়া, করিমপুর প্রভৃতি এলাকায় প্রচুর কলা চাষ করেছিল কৃষকরা। ঝড়ে গাছ ভেঙে যাওয়ার সব চেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে ভাগ চাষীরা। এখন তারা চাষের খরচ তুলবেন নাকি জমির মালিককে টাকা দেবেন ভেবে পাচ্ছেন না।

ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ধান, পটল, পান সহ পোল্ট্রি ফার্মও। কোথায় কোথায় ঘরের টিনের চালা উড়ে গিয়েছে। ভেঙে গেছে বিদ্যুতের খুঁটিও। শিকারপুর লাইনে রাস্তার দুধারের অসংখ্য গাছ ভেঙে পড়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে কোথাও কোথাও হালকা শীল পড়ার খবরও মিলেছে।

মুরুটিয়া থানার মাধপুরের কলা চাষি শাহজাহান শেখ বলেন, ‘বিঘা প্রতি ১০হাজার টাকায় জমি কন্ট্রাক্ট নিয়ে তিন বিঘা কলা লাগিয়েছিলাম। চড়া দামের সার কিনে চাষে খরচ হয়েছিল প্রায় ৬০ হাজার টাকা। ঝড়ে তো সব শেষ করে দিল। এখন ভেবে পাচ্ছি না দেনার দায় নিয়ে কি করে বাঁচব।’

এক বিঘা জমির ৪০০টি গাছের মধ্যে প্রায় ৩৫০ গাছই দুমড়ে মুচড়ে গেছে করিমপুরের সেনাপাড়ার কলাচাষী বাদল চন্দ্র মন্ডলের। তিনি জানাচ্ছেন, ‘কালবৈশাখীতে আমার ৭০-৮০হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন সরকার যদি সাহায্য না করে ঘটিবাটি বেচে পথে বসা ছাড়া আর উপায় থাকবে না।’ এলাকার চাষীরা চাইছেন ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতে তাদের পাশে দাঁড়াক সরকার।

Related Articles

Back to top button
error: