Farm Laws: সংসদে আইন প্রত্যাহার ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করণের পরেই আন্দোলন থামবে : সংযুক্ত কিষান মোর্চা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: শুক্রবার সকালেই বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় সরকার আশা করছিল এবার অন্তত্য কৃষকরা ঘরে ফিরে যাবে। কিন্তু এখনি থামছে না কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ। কৃষক আন্দলনের নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শুধু মৌখিক আশ্বাসের উপরে ভরসা করে ঘরে ফিরবেন না তারা। কৃষকদের যৌথ সংগঠন সংযুক্ত কিষান মোর্চা (Samyukta Kisan Morcha) জানিয়েছে, যতদিন না সরকার সংসদে বিল এনে সরকারিভাবে আইন প্রত্যাহার করছে, ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলন স্থল ছাড়বেন না। তাছাড়া তারা এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, শুধু কৃষি আইন প্রত্যাহারই যথেষ্ট নয়। বরং সব ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিতকরণ, সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ আইনের সংশোধনী প্রত্যাহার ও পাশাপাশি আরও কিছু দাবি কৃষকদের রয়েছে। সমস্ত দাবি পুরণের পরেই তারা ঘরে ফিরবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ নির্বাচনের আগে কৃষক আন্দলন এখন তাদের মাথাব্যথার কারণ হয়েই থাকছে।

২০২০-র সেপ্টেম্বরে পাশ হয় তিন কৃষি আইন আর তখন থেকেই শুরু হয় কৃষক আন্দলন। দীর্ঘ আন্দলনের পর অবশেষে কৃষকদের দুর্দমনীয় জেদের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হল কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকার। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই সংসদের আগামী অধিবেশনে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার ঘোষণা করেছেন। এদিন কৃষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এবার আপনারা ঘরে ফিরুন। মাঠে নামুন। চলুন সবকিছু নতুন করে শুরু করা যাক।” যদিও কৃষকদের জবাব স্পষ্ট এই ‘ঘরে ফেরা’ এখনি সম্ভব নয়।

সংযুক্ত কিষান মোর্চা একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলে, “সংযুক্ত কিষান মোর্চা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে। আমরা অপেক্ষা করব এই ঘোষণা কার্যকর হওয়া পর্যন্ত। এটা হলে আমাদের এক বছরের আন্দোলন ঐতিহাসিক সাফল্য পাবে। এই আন্দোলনে (Farmers Protest) ৭০০ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের একগুঁয়েমিই এইসব মৃত্যুর জন্য দায়ী।” তারা আরও বলে, “এই আন্দোলন শুধু কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহারের আন্দোলন ছিল না। এই আন্দোলনের আরও একটি উদ্দেশ্য ছিল সব ফসলের ন্যূনতম মূল্য নিশ্চিত করা। সেই দাবি এখনও পূরণ হয়নি। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ আইনের সংশোধনীও প্রত্যাহার হয়নি। সুতরাং, এই সব বিষয়েই আমরা নজর রাখব।”