“মোদী – এবার গদি ছাড়ো” শিরোনামে সমস্ত শ্রমিক বিরোধী আইন বাতিল সহ একগুচ্ছ দাবিতে আন্দোলনে নামছে ‘FITU’
নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা : সমস্ত শ্রমিক বিরোধী আইন বাতিল এবং শ্রমিকদের অধিকার সুনিশ্চিত করার সহ একগুচ্ছ দাবিতে ‘মোদী এবার গদি ছাড়ো’ শিরোনামে এক মাস ব্যাপি সারা দেশ জুড়ে শ্রমিক বিক্ষোভ (১লা-৩১শে ডিসেম্বর) উপলক্ষে ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নের পশ্চিমবঙ্গ শাখার পক্ষ থেকে আজ সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে আন্দোলনের সূচনা করা হয়। আজ এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি সেখ মোজাফফার, রাজ্য সম্পাদক মহিনুর জামান, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডাক্তার মানোয়ারা বেগম, গোলাম রহমান জাঁতুয়া, ওয়েলফেয়ার পার্টির রাজ্য সম্পাদক জালাল উদ্দিন আহমেদ ও শাহাজাদী পারভীন সহ অন্যান্যরা।
একটি বিবৃতিতে তারা একগুচ্ছ দাবি জানিয়েছেন। তাদের মূল দাবি গুলি হল- শ্রমিকবিরোধী শ্রম আইন প্রত্যাহার করতে হবে, কর্মচারীদের দৈনিক কাজের সময় ৯ ঘন্টা থেকে বাড়িয়ে ১২ ঘন্টা করার প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে, সরকার অধিকৃত পাবলিক সেক্টর প্রতিষ্ঠানগুলির বিক্রি বন্ধ করতে হবে, রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি পুনর্বহাল করতে হবে, রান্নার গ্যাসের জন্য DBTL প্রকল্প বাতিল করতে হবে, রান্নার গ্যাসের উপর রাজ্য সরকারের ট্যাক্স কমাতে হবে, পেট্রোলিয়াম পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে এবং পেট্রোপণ্যের উপর কর হ্রাস করতে হবে, ডিজেলের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন করতে হবে ইত্যাদি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ভারত বর্তমানে এমন একটি দেশে পরিণত হয়েছে যার নিজস্ব কোনও এয়ারলাইন্স নেই। কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করছে সরকার অধিকৃত পাবলিক সেক্টরগুলি ক্ষতির মধ্যে রয়েছে৷ কিন্তু অনেক সরকার অধিকৃত পাবলিক সেক্টরগুলিই (পি.এস.ইউ) লাভজনকভাবে চলছে। হয়তো কিছু P.S.U. সংকটের সম্মুখীন হয়ে থাকতে পারে। তাই সরকারকে অবশ্যই এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান বিক্রি বন্ধ করতে হবে এবং PSU প্রতিষ্ঠানগুলির সমস্যাগুলি সমাধান করা শুরু করতে হবে।”
FITU-র রাজ্য সভাপতি সেখ মোজাফফার বলেন, “২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি বলেছিল যে, তারা ক্ষমতায় এলে প্রতি বছর ২ কোটি লোকের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করবে। কিন্তু, ক্ষমতায় আসার পর সেই প্রতিশ্রুতিগুলোও নির্বাচনী বাগড়ম্বরে পর্যবসিত হয়। প্রকৃতপক্ষে, তারা প্রতি বছর ২০ লাখ লোকের জন্যও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়নি। শুধু তাই নয়, বেকারত্বে বর্তমানে ভারত ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ভারতে বর্তমানে বেকারত্ব প্রতি বছর গড়ে ৯.১ হারে বেড়েছে। নোটবন্দী, অনিয়ন্ত্রিত জি.এস.টি. লাগু করা এবং করোনা লকডাউনের কারণে অনেক কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। কাজ হারাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। এই সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছে। ভারতের বর্তমান অবস্থা এমন যে, ফোর্ডের মতো সমস্ত বড় বিদেশী কোম্পানিরা ভারত ছেড়ে চলে যাচ্ছে । মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের মেয়াদ যদি আরও বৃদ্ধি হয়, তাহলে দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা বহুগুণ বাড়বে, কোনও মতেই কমবে না।”