টিডিএন বাংলা ডেস্ক : জালিয়ানওয়ালাবাগকে আধুনিক সাজে সজ্জিত করেছে মোদি সরকার। যা নিয়ে সমালোচনায় সরব রাজনীতিবিদ থেকে ইতিহাসবিদ সবাই। মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি বলেন, “আমিও শহিদের সন্তান। শহিদের অপমান কোনও ভাবেই মেনে নেব না।” রাহুল যেদিন একথা বললেন, সেদিনই পাঞ্জাবের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং বললেন উল্টো কথা। যার জেরে অস্বস্তিতে কংগ্রেস।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আমার তো এই নতুন রূপ দেখে বেশ ভালই লাগছে।” এমনিতেই অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত পাঞ্জাব কংগ্রেস। তার ওপর রাহুলের বিপরীতে গিয়ে ক্যাপ্টেনের এহেন মন্তব্য গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত কাজ করবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। জালিয়ানওয়ালাবাগের সংস্কার নিয়ে কংগ্রেস বিরোধিতা করলেও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কী ধরনের সংস্কার করা হবে, তা না দেখেই কেন সংস্কারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল? সংস্কার চলাকালীন রাজ্য সরকার কেন এর বিরোধিতা করেনি?
১৯১৯ সালে জেনারেল ডায়ারের নির্দেশে কুখ্যাত হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি বিজড়িত জালিয়ানওয়ালাবাগের সৌন্দর্যায়ন করছে কেন্দ্র। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে মাটির খোলনলচে বদলে ফেলা হয়েছে। সেটিকে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। বসানো হয়েছে বহু মূর্তি, তৈরি হয়েছে আধুনিক ফটো গ্যালারি, লাগানো হয়েছে আধুনিক ডিসকো লাইটও। ফলে অনেকেই মনে করছেন ইতিহাসকে মুছে ফেলা হচ্ছে। ইতিহাসবিদরা বলছেন, জালিয়ানওয়ালাবাগের মত জায়গা যার সঙ্গে হাজার শহীদের স্মৃতি জড়িয়ে আছে, সংস্কারের নামে সেই জায়গার সৌন্দর্যায়ন করা যায় না। তা আসলে ইতিহাসের অবমাননা।