HighlightNewsদেশরাজ্য

যোগীর বুলডোজারকে ‘আইনের শাসনের বিপর্যয়’ আখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেশের প্রাক্তন বিচারপতিদের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: যোগী সরকারের বুলডোজার বিচারকে ‘আইনের শাসনের বিপর্যয়’ ও ‘মধ্যযুগীয় বর্বরতা’ আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি এনভি রমানাকে মঙ্গলবার চিঠি দিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টে প্রাক্তন বিচারপতি সহ বিভিন্ন রাজ্যের প্রাক্তন বিচারপতি, বিশিষ্ট আইনজীবী এবং বিশিষ্ট নাগরিকরা। সেই চিঠিতে তারা অবিলম্বে এই বুলডোজার বিচারকে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। সেই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন সুপ্রিম কোর্টের তিন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি, ভি গোপালা গৌড়া ও এ কে গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়াও ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী শান্তিভূষণ, ইন্দিরা জয়সিং, প্রশান্ত ভূষণ প্রমুখ।

সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এ কে গঙ্গোপাধ্যায় এক সংবাদ মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন, আমরা কি মধ্যযুগে বাস করছি নাকি?‌ প্রতিবাদ করতে গিয়ে কেউ হিংসায় জড়িয়ে পড়লে তার জন্য কি কাউকে সপরিবারে সাজা দেওয়া যায়?‌ পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করতে পারে। জেলে আটকে রাখতে পারে। কিন্তু অভিযুক্তের পরিবারের লোকেরা কী দোষ করেছে?‌ তাঁরা কেন গৃহহীন হবেন?‌ তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন কোনও নির্মাণ যদি অবৈধও হয় তাহলে কি সেটাকে রাতারাতি ভেঙে দেওয়া যায় কি?‌ এরপরই তিনি যোগ করেন, “আমি অবাক হচ্ছি কেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এখনও হস্তক্ষেপ করছে না। আদালতের উচিত ছিল স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করার।”

প্রসঙ্গত, নবী মহম্মদ(সঃ) সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার প্রতিবাদে দেশ জুড়ে শুরু হওয়া প্রতিবাদ কিছু কিছু জায়গায় হিংসাত্মক রূপ নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ধরণের প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে যোগী প্রশাসন উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর, প্রয়াগরাজ প্রভৃতি জায়গায় অভিযুক্তদের বাড়ি বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। যদিও প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে ওই বাড়ি গুলি বেআইনি ভাবে নির্মান করা হয়েছিল। প্রয়াগরাজে হিংসা ছোড়ানোর ও মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ‘ওয়েলফেয়ার পার্টি অব ইন্ডিয়া’-র নেতা জাভেদ মহম্মদ ও তার পরিবারকে বাড়ি। বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে তাদের বাড়িটি। কিন্তু তিনি ওই দিন মিছিলে ছিলেন না দাবি করেছে ওয়েলফেয়ার পার্টি। এছাড়া ওই বাড়িটিও জাভেদের নয় বরং তার স্ত্রী পরভিন হাসিনার।

Related Articles

Back to top button
error: