রাজ্য

বান্ধবী বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর দিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : দশমীর সন্ধ্যায় অধ্যাপক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে আলোচিত সাবেক মন্ত্রী ও কলকাতার সাবেক মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।

সিঁদুর খেলার পর বৈশাখী বলেন, ‘আমাদের মধ্যে স্বীকৃতির অভাব কোনও দিন ছিল না।’

এর আগে সপ্তমীর সন্ধ্যায় বৈশাখীকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের ‘বুর্জ খালিফা’ দেখতে গিয়েছিলেন।

রাজ্যের আলোচিত ও সমালোচিত জুটি শোভন-বৈশাখীর নাচ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে।

দশমীর দিন এক টিভি চ্যানেলের দুর্গাপুজোর অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন কলকাতার সাবেক মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং অধ্যাপক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মা দুর্গার সামনে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন শোভন।

এর আগে কোটি টাকার বেশি দিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়ি কিনে নিয়েছিলেন ‘বান্ধবী’ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আইনি সমস্যায় জর্জরিত শোভন। আদালতে মামলার পর মামলা চলছে। তাই প্রবল অর্থ সংকটে তিনি, দাবি কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের।

শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জানিয়েছেন, বেহালার পৈতৃক বাড়িটি তিনি কোটি টাকারও বেশি দিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিক্রি করে দিয়েছেন। আইনত বর্তমানে ওই বাড়ির মালিক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

চলতি বছরের মাঝামাঝি নিজের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি ‘বান্ধবী’ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখে দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের জন্যই তার ওই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিলেন।

শোভন-রত্না বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। কিন্তু বর্তমানে স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বেহালার পৈতৃক বাড়িতেই থাকেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গেই ওই বাড়িতে বসবাস করেন শোভন-রত্নার পুত্র ও কন্যাও।

এদিকে গত মাসের শেষ দিকে বাবা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে মানসিক পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানোর দাবি তুলেছিলেন তার ছেলে সপ্তর্ষি।

শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে সপ্তর্ষি বলেন, ‘আমাকে আর মাকে বাড়ি ছেড়ে যেতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। বোনকে এখানে থাকতে হলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যাবে না বলে শর্ত দেওয়া হয়েছে। একজন নাবালিকাকে তার মা ও দাদার থেকে দূরে রাখার কথা ভাবলেন কী করে ওরা। আমার মনে হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে অ্যাসাইলামে পাঠানো উচিত।’

সপ্তর্ষি বলেন, ‘শোভনবাবুর ফেলে যাওয়া কাজ নিয়ে মা সারা দিন ছুটছেন। আমার নিজের কাজ রয়েছে। সেই সব সামলে ওরা কোথায় কী বললেন তা নিয়ে ভাবার সময় আমাদের নেই। পর্ণশ্রীর বাড়ি শোভনবাবু করেননি। তাই তা বিক্রি করার অধিকারও তাঁর নেই। এই বাড়ি দখল করতে এলে আইনি লড়াই হবে।’

Related Articles

Back to top button
error: