টিডিএন বাংলা ডেস্ক: চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হল কাশ্মীরের প্রয়াত বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির নাতিকে। আনিসুল ইসলাম কী ভাবে ওই চাকরি পেয়েছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রভাব খাটিয়ে নাতির ওই চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন গিলানি।আর এই যুক্তিতেই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, গিলানির নাতি শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে রিসার্চ অফিসার হিসাবে যুক্ত ছিলেন। মেহবুবা মুফতি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এই নিয়োগ হয়। তবে তা নিয়োম মেনে হয়নি বলে অভিযোগ। আনিসের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, সাম্প্রতিককালে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে সমর্থন করতে দেখা গিয়েছে আনিসুল ইসলামকে। তিনি ড্রোন উড়িয়ে প্রতিবাদের ছবি তুলতে মদত দিয়েছিলেন।
ওই চাকরি পাওয়ার মাসখানেক আগেই পাকিস্তানে গিয়েছিলেন আনিসুল। অভিযোগ, সেখান থেকে ফিরতেই চাপ দিয়ে চাকরি হাসিল করা হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একা আধিকারিক জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে চাকরি হয়নি গিলানির নাতির। প্রশ্ন হল, কী চাপ দেওয়া হয়? অনেকেই অভিযোগ করছেন, ২০১৬ সালে সেনাবাহিনীর হাতে মৃত্যু হয়েছিল হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানির। ঘটনার জেরে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। আর সেই আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে সম্ভবত চাকরি দেওয়া হয়েছিল গিলানির নাতিকে। আরও প্রশ্ন উঠছে, ২০০৫ থেকে ওই পদ ফাঁকা ছিল। তখন কোনও নিয়োগের ব্যস্ততা দেখায় সরকার। পাকিস্তান থেকে আনিস ফেরার পর এমন কী হল যে তাঁকেই ওই পদে বসানো হল?