টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ গত সোমবারই গোয়া কংগ্রেসের ২ বারের মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো তার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। এরপর থেকেই তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে। বিভিন্ন সূত্র থেকে তাঁর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান এর খবর আসলেও তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এরপর আজ তিনি কলকাতায় এসে পৌঁছালে তার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের সম্ভাবনা জোড়ালো হয়। অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। তবে প্রাক্তন এই কংগ্রেস বিধায়ক একাই নন, তার সঙ্গে বুধবার তৃণমূলে যোগ দিলেন আরও ৭ কংগ্রেস নেতা। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ একাধিক তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এদিন দুপুরে জোড়াফুলে যোগ দিলেন গোয়ার অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা। তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলেদেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদ সৌগত রায় এদিনের অনুষ্ঠান থেকেই জানিয়েদেন গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি আরও বৃদ্ধি পেতে চলেছে। কিছু দিনের মধ্যেই আরও কয়েকজন জনপ্রিয় নেতা তৃণমূলে যোগদান করতে চলেছেন। ফালেইরো তাঁর তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে বলেন,”বিজেপি-র বিরোধিতা করার জন্যই তৃণমূলে যোগ দিলাম। আর এতে আমি খুব খুশি। ৪০ বছর ধরে একটা দল করার পর আজ তা ছেড়ে দিদির সঙ্গে রাজনৈতিক কেরিয়ারের নতুন যাত্রা শুরু করার একটাই কারণ, গোয়ার এখন যোগ্য, সুদক্ষ বিকল্প দরকার। গোয়ার অস্তিত্ব, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষার লক্ষ্যে আমিই দিদিকে ওখানে আসতে অনুরোধ করেছি।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “কংগ্রেস আর আগের মতো নেই। কংগ্রেস ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। অন্য দিকে বিজেপিশাসিত গোয়ায় প্রশাসনিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে, গরিবি বাড়ছে। আমি চাই কংগ্রেসী পরিবার একত্রিত হোক। নিজের কংগ্রেসী আদর্শ নিয়েই কাজ করতে পারব বলে এখানে এসেছি।” পাশাপাশি তিনি যোগ করেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং তাদের যে হারানো যায়, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে দেখিয়েছেন।” উল্লেখ্য যে, ফালেইরো গত ৪০ বছর ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ৭ বার কংগ্রেসের বিধায়ক হয়েছেন এবং দুইবার মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছেন। এছাড়া তিনি কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতিও ছিলেন এবং তিনি কংগ্রেসের সাংগঠনিক মজবুতি করণের ক্ষেত্রে বড় বড় দায়িত্বও পালন করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে দিল্লি দখলের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূলের ঘাঁটি শক্ত করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে বেশকিছু রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস তার কাজ শুরু করেছে। এবার ৪০ আসনের গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে গোয়া দখল তাদের প্রধান লক্ষ্য।