টিডিএন বাংলা ডেস্ক: প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ দল ছেড়ে দেওয়ার পর এবার বিদ্রোহী মেজাজে দেখা যাচ্ছে দলের আর এক প্রবীণ নেতা আনন্দ শর্মাকেও। চলতি বছরেই হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বুধবার, দলের ইশতেহার কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে গেলেন আনন্দ শর্মা। উল্লেখ্য, ২৭শে অগাস্ট ও ৩০শে অগাস্ট গোলাম নবি আজাদের বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন আনন্দ শর্মা। গুলাম নবী আজাদ কংগ্রেস ছাড়ার পর গত ৫ দিনে তাঁর সঙ্গে দুবার দেখা করেছেন আনন্দ শর্মা। শর্মা ও আজাদের এই সাক্ষাতের পর থেকেই জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
মঙ্গলবার গোলাম নবী আজাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন আনন্দ শর্মা ও ভূপিন্দর সিং হুডা। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে তিনজনের মধ্যে কথাবার্তা। এর আগে আনন্দ শর্মা ২৭ আগস্ট আজাদের সরকারি বাসভবনে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
এর আগে ২১ আগস্ট, আনন্দ শর্মা হিমাচল কংগ্রেস স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতির পদ থেকেও পদত্যাগ করেছিলেন। তবে, সেসময় তিনি বলেছিলেন, তিনি অবশ্যই বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জন্য ভোট চাইবেন।
গোলাম নবী কংগ্রেস ছাড়ার পরে শর্মা বলেছিলেন যে এটি একটি জঘন্য সিদ্ধান্ত। একইসঙ্গে, ২৮শে আগস্ট সিডব্লিউসি সভায় কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আনন্দ শর্মা। তিনি বলেন, ব্লক, জেলা ও রাজ্য স্তরে নির্বাচন হচ্ছে না। রাষ্ট্রপতি পদে ভোটারদের সংখ্যাও বলা হচ্ছে না। শর্মার এই প্রশ্নের পর সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেস নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মধুসূদন মিস্ত্রিকে এই বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, রাজীব গান্ধীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে পরিচিত আনন্দ শর্মা কংগ্রেসের জি-২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর অন্যতম সোচ্চার সদস্য। আনন্দ শর্মা জি-২৩ কে কংগ্রেসের আত্মা বলে বর্ণনা করেছিলেন। ২০২০ সাল থেকে কংগ্রেস হাইকমান্ডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী অবস্থান নিয়েছিলেন একসময় গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ নেতা আনন্দ শর্মা।