টিডিএন বাংলা ডেস্ক : যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এগোচ্ছে টালা ব্রিজ পুনর্নির্মাণের কাজ। এখনও পর্যন্ত ৬০% এর বেশি কাজ সম্পূর্ণ। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি থেকেই খুলে যাবে টালা ব্রিজ। এই টার্গেট নিয়েই এগোচ্ছে নবান্ন।
২০২০ সালে করোনা আবহে শুরু হয় লকডাউন। সেই সময় আগস্ট মাস থেকে শুরু হয় ব্রিজ পুনর্নির্মাণের কাজ। উত্তর কলকাতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেতু এটি। এই সেতু পুনর্নির্মাণের জন্য খরচ করা হচ্ছে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। তবে মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় করোনা। অক্সিজেনের চাহিদা বাড়তে থাকায় থমকে যায় ওয়েল্ডিংয়ের কাজ। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে দ্রুত ব্রিজ মেরামতির লক্ষ্যে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। ২০১৯ সালে ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছিলেন প্রখ্যাত সেতু বিশেষজ্ঞ ভিকে রায়না। তিনি সুপারিশ করেছিলেন ৭৫ বছরের পুরনো সেতুটি ভেঙে ফেলার। সেইমতো সেতুটিকে নতুন করে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জন্য দরকার ছিল ব্রিজের তলায় থাকা জল, কেবল, গ্যাসের পাইপ লাইন সহ একাধিক পরিষেবার পরিকাঠামো সরানো। যা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় নির্মাণকারী সংস্থাকে। ফলে বেশ কিছুটা দেরি হয় কাজটি সম্পন্ন করতে। পূর্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে টালা ব্রিজের কাজ পরিদর্শনে যান ওঙ্কার সিং মিনা। রেলের স্টাফ কোয়ার্টার ভাঙ্গার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি লেখেন তিনি।
কোয়ার্টার সরানোর জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় নবান্ন। নির্মাণকারী সংস্থাকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই প্রকল্প শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। সেই লক্ষ্য পূরণ হলেই তৃণমূল সরকারের আমলে উন্নয়নের তালিকা আরও একটি নতুন পালক যোগ হবে বৈকী!