টিডিএন বাংলা ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন রাজ্যের ৪০টি কলেজের মধ্যে মাত্র ১টি কলেজে অসংরক্ষিত ক্যাটেগরিতে শিক্ষক ভ্যাকান্সি দেখিয়েছে, শিডিউল-কাস্টে দেখিয়েছে ২টি পদ। ১৫২ জন ক্যান্ডিডেটকে ইন্টার্ভিউয়ে ডেকেছিল সিএসসি। সেখান থেকে অসংরক্ষিত ক্যাটেগরিতে প্রভিশোনাল মেরিট লিস্টে নামে এসেছে মাত্র দুজনের। প্রথমজন আবার রাজ্যের বাইরের অধিবাসী। শিডিউল কাস্টে প্রভিশোনাল মেরিট লিস্টে কোনো নাম আসেনি। উল্লেখ্য যে, রাজ্যে ৪০টি কলেজে আরবি পড়ানো হয়, সাথে ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএচডি কোর্স চালু রয়েছে। এগুলির মধ্যে বহু কলেজে আসন সংখ্যা বৃদ্ধিও পেয়ছে। অস্থায়ী শিক্ষক দ্বারা পড়াশোনা চলছে অনেক ক্ষেত্রেই। তবুও এই সন্ধিক্ষণে মাত্র ১জনকে নিয়োগ করা সত্যিই আশ্চর্যজনক। এসআইও সিএসসি’র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আরবির প্রতি এই গড়িমসি আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
এদিন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সাইদ বিএস আল মামুন জানান, “রাজ্যে একাধিক কলেজে আরবি কোর্স চালু রয়েছে – স্নাতকে পাস ও অনার্স কোর্সের সাথে রয়েছে এমএ, এমফিল এবং পিএচডিও, আরও রয়েছে আরবি বিষয়ের উপর বিএড কোর্স। এগুলির বহু কোর্স অস্থায়ী শিক্ষকের মাধ্যমে পড়ানো হচ্ছে। স্থায়ী আরবি শিক্ষকের প্রয়োজন রয়েছে অপরিসীম। আরবির প্রতি সিএসসি’র এই মনোভাব আমাদের সত্যিই হতভম্ব করছে।” অন্যদিকে, পরীক্ষার নিয়মনুসারে পশ্চিমবঙ্গের কলেজে আরবি পড়াতে হলে বাংলা পড়তে ও লিখতে জানতে হবে। এই নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগও উঠেছে কলেজ সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে। আরবি সহও অন্যান্য সাবজেক্টেও এই উদাসীন মনোভাব লক্ষ্য করা যায়। ওবিসি-এ ক্যাটেগরি তে স্বল্পসংখ্যক নিয়োগের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। সাইদ মামুন আরও বলেন, “সিএসসি’র বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক অভিযোগের সঠিক উত্তর এখনো মেলেনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে আমাদের এই দাবী যে দ্রুত কলেজ সার্ভিস কমিশনের ওপর উপযুক্ত তদন্ত চালু হোক এবং সাথে আরবি ভাষার প্রতি সমস্ত অনীহা দূর করা হোক।” সাথে তিনি প্রত্যেকটি সাবজেক্টেও সঠিক নিয়োগ পদ্ধতি প্রণয়নের আহ্বান জানান।