টিডিএন বাংলা ডেস্ক : গ্রিস তুরস্কের সঙ্গে সীমান্তে ৪০ কিলোমিটার দেওয়াল এবং নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপন করেছে। আফগান শরনার্থী ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা থেকেই গ্রিস এমন করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউরোপের দেশগুলির কাছে গুচ্ছ গুচ্ছ আবেদন জমা পড়েছে আফগানদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য। তবে তারা কতটা পাশে থাকবে, তা নিয়ে ঘোর সংশয়ের মাঝে আরও নেতিবাচক বার্তা দিল গ্রিস। আফগান শরণার্থীদের ঢল নামতে পারে, এই আশঙ্কায় গ্রিস-তুরস্ক সীমান্ত পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলল। অর্থাৎ গ্রিস বুঝিয়ে দিল, সেই দেশে উদ্বাস্তু আফগানদের ‘নো এন্ট্রি’।
শুক্রবার গ্রিসের জনসুরক্ষা মন্ত্রী মিকালিস ক্রিসোকোইডিস জানিয়েছেন, সীমান্তে ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে খুব শক্তপোক্তভাবে ঘেরা হয়েছে, যা প্রায় প্রাচীরের সমান। কারণ, ভবিষ্যতের জন্য আগাম সুরক্ষা নিয়ে রাখাতেই বিশ্বাসী তাঁরা।
আফগান অভিবাসীদের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তুরস্ক ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানোর পরই এই মন্তব্য করলেন গ্রিসের মন্ত্রী। গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিসের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, আফগানিস্তান ত্যাগ করা লোকের সংখ্যা তীব্রভাবে বৃদ্ধি প্রত্যেকের জন্য একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
ফলে এই মুহূর্তে দেশ ছেড়ে যদি ইউরোপের দিকে স্রোতের মতো ধেয়ে যায় আফগান শরণার্থীদের ঢল, সেক্ষেত্রে গ্রিসের দরজা অন্তত তাঁদের জন্য বন্ধ। অন্যান্য দেশও সতর্ক। সেখানেও আফগানদের কতটা আশ্রয় মিলবে, সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে কি না, এমন হাজারও সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
মধ্যেপ্রাচ্যে যুদ্ধের কারণে ২০১৫ সালে প্রায় ১০ লাখ মানুষ তুরস্ক হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করে। অনেকে সাগর পথে নৌকা দিয়েও প্রচেষ্টা চালায়। তখন ৬০ হাজার লোক গ্রিসে অবস্থান করে, আর অন্যদের আশ্রয় হয় একাধিক দেশে ।
অন্যদিকে ১০ দিনের জন্য পাঁচ হাজার আফগান নাগরিককে রাখতে রাজি হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তৃতীয় কোনো দেশে যাওয়ার আগে এদের রাখবে আমিরাত। এ কাজ তারা করছে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে।
রয়টার্স এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ডব্লিউএএম দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়, আগামী দিনে মার্কিন বিমানে চড়ে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাবেন আফগানিস্তান ত্যাগকারীরা।