টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ গুজরাট হাইকোর্ট সামাজিক কর্মী তিস্তা সেটালভাডের জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে তাঁকে “অবিলম্বে আত্মসমর্পণ” করার নির্দেশ দিয়েছে। তিস্তা সেটালভাদের বিরুদ্ধে ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা সংক্রান্ত মামলায় “নিরপরাধ লোকদের” ফাঁসানোর জন্য প্রমাণ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়।
বিচারপতি নির্জার দেশাইয়ের রায়ের পরে, বরিষ্ঠ আইনজীবী মিহির ঠাকুর রায় কার্যকর করার জন্য ৩০ দিনের সময় চেয়ে আদালতকে অনুরোধ করেন। তবে, সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি দেশাই।
প্রসঙ্গত, তিস্তা সেটালভাড একজন সমাজকর্মী। তিনি গুজরাট দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য লড়াই করছেন। তিস্তা সেটালভাদের জন্ম হয় ১৯৬২ সালে মহারাষ্ট্রে। তিনি মুম্বইতে বড় হন এবং মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। তাঁর বাবা অতুল সেটালভাড ছিলেন একজন আইনজীবী এবং তাঁর দাদা এমসি সেটালভাড ছিলেন দেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল। যদিও, তিস্তা সেটালভাড আইনের পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে সাংবাদিকতার দিকে পা বাড়ান। রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন বহু পত্র-পত্রিকায়। পরবর্তীকালে, তিনি সাংবাদিক জাভেদ আনন্দকে বিয়ে করেন এবং এরপরে কিছু মানুষের সাথে সিটিজেন ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস নামে একটি এনজিও শুরু করেন। ২০০৭ সালে তিস্তা সেটালভাড পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। পদ্মশ্রী ছাড়াও, তিনি ২০০২ সালে রাজীব গান্ধী জাতীয় সদ্ভাবনা পুরস্কারও পেয়েছেন।
এহেন, সামাজিক কর্মী তিস্তা সেটালভাডের বিরুদ্ধে ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা সংক্রান্ত মামলায় “নিরপরাধ লোকদের” ফাঁসানোর জন্য প্রমাণ জালিয়াতির অভিযোগ করা হয়েছে। সেটালভাদের বিরুদ্ধে আইপিসির ধারা ৪৬৮ (প্রতারণার অভিপ্রায়ে টেম্পারিং) এবং ধারা ১৯৪ (প্রমাণ জাল করা)-এর অধীনে মামলা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তিস্তা সেটালভাডের বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগও করা হয়েছে।