Gujarat Riot Case: আদালতও যদি এ বিষয়ে মনোযোগী না হয়, মানুষ কার কাছে যাবে : গুজরাত দাঙ্গা প্রসঙ্গে কপিল সিব্বল

ছবি সুত্রঃ টুইটার

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : গুজরাত দাঙ্গায় নিহত হয় বহু মুসলিম, ভেঙে ফেলা হয় দোকানপাট, আগুন লাগানো হয় বিভিন্ন জায়গায়। সেই সময় গুজরাটে ক্ষমতায় ছিল বিজেপির সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যে কারণে নরেন্দ্র মোদী সহ অনেকের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়। দাঙ্গার তদন্তে গঠিত সিট ২০১২ সালে তার ক্লোজ়ার রিপোর্ট জমা দেয়। সেই দাঙ্গা মামলায় ‘সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে’ নরেন্দ্র মোদী-সহ ৬৩ জনকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়। কংগ্রেসের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আইনজীবী কপিল সিব্বলের অভিযোগ এই মামলায় ২৩ হাজার পাতার নথিপত্র ও সাক্ষ্যপ্রমাণ আছে যা ভাল ভাবে খুলেই দেখা হয়নি। আদালতের কাছে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আদালতও যদি এ বিষয়ে মনোযোগী না হয়, মানুষ কার কাছে যাবে?’’

উল্লেখ্য যে, গুজরাত দাঙ্গায় গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাকাণ্ডে নিহত হয়েছিলেন জ়াকিয়া জ়াফরির স্বামী কংগ্রেস সাংসদ এহসান জ়াফরি। জ়াকিয়া জ়াফরি তাঁর স্বামী এহসান জ়াফরির হত্যাকারিদের শাস্তি দিতে বিচারের দোর গোড়াতে ঘুরে ফিরছেন সেদিন থেকেই। সেই দাঙ্গা মামলায় ‘সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে’ নরেন্দ্র মোদী-সহ ৬৩ জনকে ক্লিনচিট দেওয়ার বিরোধিতা করে আবারো সুপ্রিম কোর্টের সামনে আবেদন করলেন জ়াকিয়া জ়াফরি। প্রায় দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে ন্যায়বিচারের আশায় মামলা লড়ে আসছেন জ়াকিয়া। ইতিপুর্বে গুজরাত হাইকোর্ট তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। এরপর তিনি মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টে। বেশ কয়েক বার মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরে অবশেষে সু্প্রিম কোর্টে তাঁর আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে দু’সপ্তাহ আগে। বিচারপতি এ এম খানউইলকর, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সি টি রবিকুমারের বেঞ্চে। অন্যদিকে বৃদ্ধ জ়াকিয়ার হয়ে মামলা লড়ছেন আইনজীবী, তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কংগ্রেসের কপিল সিব্বল।

আজকের সওয়ালে আদালতকে তিনি বলেন, সংগৃহীত সাক্ষ্যপ্রমাণের বৃহদংশই সিট খুলে দেখেনি। বলা চলে তারা যথাযথ তদন্ত না করেই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। উদাহরণ হিসাবে তিনি বলেন, সিট বয়ান রেকর্ড করেনি, ফোন বাজেয়াপ্ত করেনি, কী ভাবে বোমা তৈরি হল খুঁজে দেখেনি— এ সব না করেই তারা ক্লোজ়ার রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি এদিন তিনি জানান ১৯৪৭-এ দেশভাগ পরবর্তী হিংসায় তিনি নিজেও তাঁর দাদু-দিদাকে হারিয়েছিলেন। এছাড়া ইতিপুর্বে শুনানিতে সিব্বল এটাও বলে ছিলেন, কোনও ‘উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে’ নিশানা করা এই আবেদনের উদ্দেশ্য নয়। প্রশ্নটা আইনশৃঙ্খলা এবং মানবাধিকারের। তিনি দাবি করেন, ‘‘পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে গণহত্যা ঘটেছে। তার উপযুক্ত তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের যোগসাজশ, বিদ্বেষমূলক প্রচারের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক।’’