টিডিএন বাংলা ডেস্ক: আবির্ভাব করে প্রথম বছরের প্রথম আইপিএল খেলেই বাজিমাত করল গুজরাত টাইটান্সের ক্রিকেটাররা। রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে আইপিএলের কাপ জয় করে নিল গুজরাত টাইটান্স। এর আগে রাজস্থান রয়্যালসও আবির্ভাব করে প্রথম বছরেই ফাইনাল ম্যাচ জিতে নজির গড়ে ছিল। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে সঞ্জু স্যামসনের নেতৃত্বাধীন রাজস্থান রয়্যালসকেই পরাস্ত করে ব্যাটে- বলে দুরন্ত পারফরম্যান্স, সেই সঙ্গে অসাধারণ নেতৃত্বে সকলকে মুগ্ধ করেছেন টাইটান্স ক্যাপ্টেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। হার্দিক পাণ্ডিয়া সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছে গুজরাত টাইটান্স। যদিও অনেকেই কৃতিত্ব হার্দিক পাণ্ড্যকে, কোচ আশিস নেহরাকে বা বোলারদের কে নয় বরং মূল কৃতিত্ব গুজরাত টাইটান্সের পরিবেশকেই দিয়েছেন। গোটা দলটা একটা পরিবার হয়ে উঠেছিল। সেটাই গুজরাতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথটা সহজ করে দিয়েছে।
হার্দিক পাণ্ডিয়া এই নিয়ে পঞ্চমবার আইপিএল খেতাবজয়ী দলের সদস্য হলেন। অধিনায়ক হিসেবে এই প্রথম। এর আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে তিনি ৪ বার আইপিএল খেতাব জয়ের স্বাদ পেয়েছেন। ২০১৫, ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে। এবার আবার তিনি চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটান্সের অধিনায়ক। এই নিরিখে তিনি পিছনে ফেললেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। কেন না, চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক চারবার আইপিএল খেতাব জিতেছেন।
আইপিএল খেতাব জিতে গুজরাত টাইটান্সের অন্যতম ক্রিকেটার শুভমন গিল বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয় আমার কাছে যতটা বড় ছিল, আইপিএল জেতাও ততটাই বড়। এটা আমার চতুর্থ বছর। শেষ পর্যন্ত উইকেটে টিকে থাকাই লক্ষ্য ছিল। কোচেদের সঙ্গে সেরকমই কথা হয়েছিল। বোলাররা সত্যিই ভাল বল করেছে। না হলে ১৩০ রানে ওদের আটকে রাখা সম্ভব হত না। আমরা চেয়েছিলাম ওদের ১৫০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে। তার থেকেও কম রানে আটকে রাখতে পেরেছি।’ ডেভিড মিলার বলেন, ‘দুর্দান্ত একটা যাত্রা। এটা দলগত প্রচেষ্টার ফল। প্রত্যেকে ভাল খেলেছে। আমাদের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য সারক্ষণ খোশ মেজাজে থাকে। হার্দিক এবং আশিস নেহরা, দু’জনের সঙ্গেই আমাদের বোঝাপড়াটা খুব ভাল। প্রতিযোগিতা যত এগিয়েছে, ওর পরিকল্পনাগুলো তত অসাধারণ হয়েছে। একটু একটু করে আমরা শক্তিশালী হয়েছি।’