টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ধর্ষন করেই খুন করা হয়েছে হাথরসের নির্যাতিতা তরুণীকে। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় চার উচ্চবর্ণ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিটও পেশ করেছে সিবিআই। তফসিলি জাতি উপজাতি আইনেও ওই চার যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
এর আগে, গতমাসে হাথরস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তের স্বার্থে পলিগ্রাফ টেস্ট ও ব্রেন ম্যাপিং-এর জন্য অভিযুক্ত চার যুবককে গুজরাটে নিয়ে যায় সিবিআই।আলীগড় জেল থেকে ওই চার যুবককে গুজরাট গান্ধীনগরে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।
উল্লেখ্য, গত মাসেই হাথরাস কান্ডের তদন্তভার হাতে তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। গত ২৯ সেপ্টেম্বর দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় হাথরাস কাণ্ডের নির্যাতিতার। তার আগেই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়, ওই চার অভিযুক্ত যুবককে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে মাঠে কাজ করতে গিয়ে নির্মম ধর্ষণের শিকার হন হাথরস কান্ডের নির্যাতিতা। এর পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে আলিগড়ের জেএনএমসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে চিকিৎসা স্বার্থে তাকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ২৯ সেপ্টেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই যুবতী। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় হয়েছে গোটা দেশ। মৃত্যুর আগে দেওয়া নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, ওই চার অভিযুক্তই তাঁকে প্রথমে নির্মমভাবে ধর্ষণ করে এবং পরে শ্বাসরোধ করে খুনের প্রচেষ্টা করে।
দলিত তরুণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জোড়ায় যোগী সরকার। কেন তড়িঘড়ি মধ্যরাতে তরুণীর বাড়ির থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরত্বে একটি মাঠের মধ্যে পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে শবদেহ দাহ করল পুলিশ তা নিয়ে একের পর এক প্রশ্নের সম্মুখীন হয় যোগী সরকার। যদিও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং জানায় পরিবারের সম্মতিতেই নির্যাতিতার শবদেহ দাহ করা হয়েছে। চাপের মুখে সিবিআই-এর হাতে তদন্তের দায়ভার তুলে দে উত্তরপ্রদেশ সরকার। শীর্ষ আদালত এই মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের নজরদারিতে সিবিআইয়ের তদন্ত পরিচালনার নির্দেশ দেয়।
এদিকে প্রথম থেকেই নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করে আসছেন অভিযুক্ত ওই চার যুবক। এমনকি একজন অভিযুক্ত উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিকের কাছে একটি পত্র মারফত দাবি করে নির্যাতিতা তরুণীর মৃত্যুর জন্য ওই তরুণীর মা ও ভাই দায়ী। এই অভিযোগ অস্বীকার করে তরুণীর পরিবার। এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনৌ বেঞ্চে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২৭ জানুয়ারি।