নিজস্ব সাংবাদ, টিডিএন বাংলা : ‘ইসলামে হিজাব বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন নয়’ এই যুক্তিতে কর্নাটক হাইকোর্ট হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে যত পিটিশন দায়ের করা হয়ে ছিল সব খারিজ করে দিয়েছে। কর্নাটক হাইকোর্টের এই রায় প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে মিম সুপ্রিম তথা সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ শিশুদের শিক্ষা এবং আল্লাহর আদেশের মধ্যে একটি বেছে নিতে বাধ্য করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুসলমানদের জন্য আল্লাহর নির্দেশ হল শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি সালাহ, হিজাব, রোজা, ইত্যাদি অনুসরণ করা। এখন সরকার মেয়েদের যে কোনো একটি নির্বাচন করতে বাধ্য করছে। এখন পর্যন্ত বিচার বিভাগ মসজিদ, দাড়ি রাখা এবং হিজাবকে অপ্রয়োজনীয় বলে ঘোষণা করেছে। বিশ্বাসের অবাধ প্রকাশের বাকী কী আছে?’
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জাফরান পাগড়ি কি “প্রয়োজনীয়”? নাকি শুধুমাত্র হিজাবের প্রতি “প্রতিক্রিয়া”? হাইকোর্টের আদেশে মৌলিক অধিকার স্থগিত করা হয়েছে। আমরা দেখেছি মিডিয়া, পুলিশ এবং প্রশাসন হিজাব পরে ছাত্র এমনকি শিক্ষকদেরও হয়রানি করছে। এমনকি বাচ্চাদের পরীক্ষা দিতেও নিষেধ করা হয়েছে। এটা নাগরিক অধিকারের ব্যাপক লঙ্ঘন।’
একটি ধর্মকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং তার ধর্মীয় অনুশীলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি তার প্রশ্ন, অনুচ্ছেদ ১৫ তে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা কি সেই আইনের লঙ্ঘন নয়? এই রায় হিজাব পরা নারীদের হয়রানিকে বৈধতা দিতে ব্যবহার করা হয় কিনা সেই আশঙ্কাও প্রকাশ করেন।