HighlightNewsরাজ্য

“চুরি করতে সুবিধা হবে বলে ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রয়োজন?” কুলপির জনসভা থেকে আক্রমণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আজ জোড়া কর্মসূচি তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রথমে কুলপি জেলায় জনসভা এবং পরে কামালগাজি থেকে সোনারপুর পর্যন্ত রোড শো করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কুলপিতে আয়োজিত ওই জনসভা থেকে বিজেপিকে একাধিক প্রসঙ্গে আক্রমণ করেছেন অভিষেক। ডাবল ইঞ্জিন সরকার প্রসঙ্গে অভিষেক বলেছেন,”দিল্লির বিজেপি নেতারা বলছেন ডবল ইঞ্জিন সরকার বানাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা ইঞ্জিনের সঙ্গে আগে মোকাবিলা করুন। বিজেপি নেতারা বলছেন কেন্দ্র-রাজ্যে একই সরকার থাকতে হবে। চুরি করতে সুবিধা হবে বলে ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রয়োজন?”

শুধু তাই নয় কেন্দ্রের “জয় শ্রীরাম” স্লোগান প্রসঙ্গেও এদিন কটাক্ষ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,”বিজেপি নেতাদের মুখে উন্নয়নের কোনও কথা নেই। বিজেপি নেতাদের মুখে শুধু জয় শ্রীরাম স্লোগান আছে।” তিনি আরো বলেন,”যাঁরা বলছেন এইবার ২০০ পার, তাঁরা এই মাঠে এই জনসভা করে দেখাও। ৩১-এ ৩১ আসন পাওয়ার আগে একটি বুথে পদ্ম ফুটিয়ে দেখাও।”

আগামী ৫০ বছর বাংলার মাটিতে তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে বলে দাবি করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”অমিত শাহ বলছেন তৃণমূলকে উৎখাত করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের হৃদয়ে রয়েছেন, কী করে উৎখাত করবেন? আগামী ৫০ বছর বাংলার মাটিতে তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে। বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার মানে ইডি-সিবিআই।”

শুধু তাই নয়, কুলপির ওই জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করে বলেন,”নাম করে কথা বলতে পারছেন না অমিত শাহ। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এত ভয় কীসের? আমি বলছি দিলীপ ঘোষ গুন্ডা, কৈলাস বহিরাগত।”

এদিন ফের একবার আমফান প্রসঙ্গ টেনে এনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”আমফানের সময় অমিত শাহকে দেখা যায়নি। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমার বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই লাগিয়ে কোনও লাভ হবে না। রাজ্যকে কালিমালিপ্ত করার কোনও প্রমাণ থাকলে ফাঁসির মঞ্চে উঠব। উন্নয়নের নিরিখে লড়াই করার ক্ষমতা আছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদি কী কাজ করেছেন পরিসংখ্যানের লড়াই হোক।”

আমফান প্রসঙ্গে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করে তিনি আরো বলেন,”প্রতিবছর বাংলা থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। বাংলার মানুষের টাকা নিয়ে যাচ্ছে মোদি সরকার। সেই টাকা নিয়ে আমফানের সময় ১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এসে হেলিকপ্টারে ১৫ মিনিট ঘুরে পালিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে রাতের পর রাত জেগে কাটিয়েছেন।”

তিনি আরো বলেন,”এই লড়াই মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী করার লড়াই নয়। এই লড়াই বহিরাগতদের বাংলা থেকে তাড়ানোর লড়াই।” এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”দিলীপ ঘোষ দুর্গাকে অপমান করেছেন। বিজেপি শাসিত রাজ্যে মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়। বিজেপি নেতারা মহিলাদের সম্মান করতে জানেন না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা বলে লাগাতার আক্রমণ করছে।”

এদিনের জনসভা থেকে কেন্দ্র সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়েও কটাক্ষ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,”বিজেপি আয়ুষ্মান ভারতের কথা বলছে। আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাচ্ছেন ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় বাংলার ১০ কোটি মানুষ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসে বলছেন, ক্ষমতায় এলে কৃষকরা ১৮ হাজার টাকা করে পাবেন। বাংলার মানুষকে কেনা যায় না।”

পাশাপাশি, মতুয়া সম্প্রদায় প্রসঙ্গেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কটাক্ষ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,”অমিত শাহ সিএএ নিয়ে মতুয়াদের বিভ্রান্ত করে গেছেন। বলেছেন ভ্যাকসিনেশনের পর সিএএ কার্যকর হবে। মতুয়ারা নাগরিক না হলে তাঁদের ভোটে কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হলেন।”

 

 

Related Articles

Back to top button
error: