HighlightNewsরাজ্য

ডোমজুড়, কাঁচড়াপাড়ায় রেল অবরোধ ধর্মঘটীদের, আটকে একাধিক ট্রেন, অবরুদ্ধ সড়ক পথ

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: গতকাল বাম সংগঠন গুলির নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জ, জলকামান, কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগের বিরুদ্ধে আজ ১২ ঘন্টার বাংলা বন্ধ সিপিএমের। সকাল ছটা থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বন্ধ। সকালের দিকে শহর কলকাতায় যান চলাচল পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে আস্তে আস্তে পরিবর্তন হচ্ছে পরিস্থিতির। পাশাপাশি বিভিন্ন জেলাগুলিতেও রাস্তা অবরোধ, রেল অবরোধ করছেন ধর্মঘটীরা।

সকাল থেকে হাওড়া ব্রিজে যানচলাচল স্বাভাবিক থাকলেও ইতিমধ্যেই যাদবপুরের এইট-বি বাসস্ট্যান্ডের কাছ থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে সিপিএমের মিছিল। ধর্মঘটের সমর্থনে বউবাজারের বিবি গাঙ্গুলী স্ট্রিটে মিছিল করেন বাম কর্মী সমর্থকরা। লেকটাউনের কালিন্দী মোড়ে যশোর রোড অবরোধ করেছে বামেরা।

অপরদিকে, সকালের দিকে শিয়ালদা লাইনের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে অবরুদ্ধ হয়েছে বেশ কয়েকটি লাইনের রেল। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ডায়মন্ড হারবার লাইনে দেউলা ও সংগ্রামপুর স্টেশনের মাঝে ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে দেন ধর্মঘটীরা। এর ফলে বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে একাধিক ট্রেন। ডোমজুড় স্টেশনে রেললাইন অবরোধ করেন ধর্মঘটীরা। আটকে পড়েছে ডাউন হাওড়া-আমতা লোকাল। কাঁচরাপাড়া স্টেশনে রেল অবরোধ করেন বাম কর্মী, সমর্থকরা। এর ফলে শিয়ালদা মেন শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত। প্রায় একই ছবি হাওড়া মেন লাইনের বিভিন্ন জায়গাতেও। হুগলির পাণ্ডুয়া স্টেশনে রেল অবরোধ। পাণ্ডুয়ার সিপিএম বিধায়ক আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে রেল অবরোধ করেন বাম কর্মী, সমর্থকরা। অশোকনগর রোড স্টেশনেও রেল অবরোধ করেন ধর্মঘটীরা। এর জেরে আটকে পড়ে মাতৃভূমি লোকাল।

শুধু রেলপথে নয় সড়কপথেও জেলায় জেলায় বিভিন্ন জায়গায় যান চলাচল ব্যাহত করেছেন ধর্মঘটীরা। আসানসোলে অটোযাত্রীদের জোর করে নামিয়ে দেন ধর্মঘটীরা। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। আসানসোলের সিটি বাসস্ট্যান্ডে অবরোধ করেন ধর্মঘটীরা। নদিয়ার নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরিতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বাম ও কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। এর ফলে তীব্র যানজট তৈরি হয়। মহেশতলায় বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের নুঙ্গি মোড় অবরোধ করেন বাম কর্মী, সমর্থকরা। ধর্মঘটের সমর্থনে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায় বিডিও অফিসের সামনে টাকি রোড অবরোধ করেন বাম ও কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকরা। এর জেরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে সারি সারি ট্রাক।

মধ্যমগ্রাম উড়ালপুলের কাছে সোদপুর-বারাসাত রোডে বামেদের অবরোধ। গার্ড রেল সরিয়ে বিক্ষোভ দেখানোয় বাম কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের বাদানুবাদ হয়। দক্ষিণ বারাসাতের কুলপি রোডে রাস্তায় বেঞ্চ পেতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন বাম কর্মী, সমর্থকরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং হাসপাতাল মোড়ে রাস্তায় ক্যারম বোর্ড পেতে খেলতে শুরু করেন ধর্মঘটীরা। এর ফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ক্যানিং-বারুইপুর রোড।

মালদার ইংরেজবাজারের রথবাড়ি মোড়ে পথ অবরোধ, পিকেটিং করেন বাম কর্মী, সমর্থকরা। বাস-অটো-টোটো আটকানোর চেষ্টা হয়। লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে অবরোধকারীদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ। পাঁশকুড়া পূর্বের সিপিএম বিধায়ক ইব্রাহিম আলির নেতৃত্বে পূর্ব মেদিনীপুরের মেচোগ্রামে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বাম কর্মী, সমর্থকরা। যদিও জেলায় বেসরকারি বাস না চললেও, সরকারি বাস পরিষেবা স্বাভাবিক। ধর্মঘটের আংশিক প্রভাব পড়ল বাঁকুড়া জেলায়। গোবিন্দনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে বেসরকারি বাস চলাচল বন্ধ। তবে সরকারি বাস পরিষেবা স্বাভাবিক। সব দোকানপাটও খোলেনি।

চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ডে বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা পিকেটিং শুরু করেন। অবরোধের ফলে বাসস্ট্যান্ড থেকে বেরোতে পারেনি বাস। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি রোড অবরোধ করেন বাম ও কংগ্রেসের কর্মী, সমর্থকরা। তবে, পুলিশ এসে অবরোধকারী হঠিয়ে দেয়। ডোমজুড় থানার সামনে হাওড়া-আমতা রোডে রাস্তা আটকে ফুটবল খেলতে দেখা গেল বাম কর্মী, সমর্থকদের। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায়। কোচবিহার শহরে জোর করে বাস আটকান কংগ্রেসের কর্মী, সমর্থকরা। পাল্টা ঝান্ডা হাতে পথে নামেন তৃণমূল কর্মীরা। আটকে পড়া বাসগুলিকে পুলিশের সহায়তায় বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। বারাসাত-চাঁপাডালি মোড়ে সরকারি বাস আটকে দেন বাম সমর্থকরা। পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয়। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায় যশোর রোড ও টাকি রোডের সংযোগস্থল।

 

Related Articles

Back to top button
error: