টিডিএন বাংলা ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের মহামারী সময় ৩৫ শতাংশ সম্পত্তি বেড়েছে ভারতীয় কোটিপতিদের। সম্প্রতি দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে কর্মরত সংস্থা অক্সফামের রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী লকডাউনের এই সময় এক দিকে যেখানে ভারতীয় কোটিপতিদের সম্পদ ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সেখানে কয়েক কোটি মানুষের জীবন-জীবিকার সংকট তৈরি হয়েছে।
অক্সফামের রিপোর্ট ‘ইনিকোয়ালিটি ভাইরাস’ অনুযায়ী,” ২০২০-র মার্চ মাসের পর থেকে ভারতের ১০০ জন কোটিপতির সম্পত্তিতে ১২,৯৭,৮২২ কোটি টাকা বৃদ্ধি হয়েছে। এই পরিমান ধনরাশি যদি দেশের ১৩.৮ কোটি অত্যন্ত গরীব মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয় তাহলে এর থেকে প্রত্যেককে ৯৪,০৪৫ টাকা করে দেওয়া সম্ভব হবে।”
অক্সফামের ওই রিপোর্টে আয় বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, মহামারীর সময় মুকেশ আম্বানির এক ঘন্টায় যে পরিমাণ আয় হয়েছে, সেই পরিমাণ আয় করতে একজন দক্ষ শ্রমিকের দশ হাজার বছর লেগে যাবে। প্রসঙ্গত এশিয়া এবং ভারতের সবথেকে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি করোনার সময়ে প্রতি ঘন্টায় ৯০ কোটি টাকা উপার্জন করতেন যেখানে লকডাউন এর সময় দেশের ২৪ শতাংশ মানুষ প্রতিমাসে ৩০০০ ডলার উপার্জন করতো। আম্বানির এই বিপুল পরিমাণ বর্ধিত সম্পদ ৪০ কোটি সাধারণ শ্রমিককে কমপক্ষে ৫ মাসের জন্য দারিদ্রতা থেকে দূরে রাখতে পারে। শুধু তাই নয় ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনা ভাইরাস মহামারী গত ১০০ বছরের মধ্যে সবথেকে বড় স্বাস্থ্য সংকট এবং এই মহামারীর পরিস্থিতিতে ১৯৩০ সালের পর সবথেকে বড় আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছে।
অক্সফামের সিইও অমিতাভ বিহার বলেছেন,”এই রিপোর্টে এটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে অন্যায্যপূর্ণ আর্থিক ব্যবস্থা থেকে কিভাবে সবথেকে বড় আর্থিক সংকটের মধ্যে সবথেকে ধনী ব্যক্তিরা বিশাল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যেখানে কোটি কোটি মানুষ অত্যন্ত কষ্টে সৃষ্টি জীবন অতিবাহিত করছেন।”