টিডিএন বাংলা ডেস্ক: লাগাতার ৪৮ দিন ধরে কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির সীমান্তে বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছেন কৃষক সংগঠনের কয়েক হাজার সদস্যরা। এই পরিস্থিতিতে আজ সুপ্রিম কোর্ট তিনটি কৃষি আইন বলবৎ করার বিষয়ে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। পাশাপাশি কৃষকদের সমস্যা সমাধানের জন্য চার সদস্যের একটি উচ্চ স্তরীয় কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে গঠিত এই কমিটির সদস্য হিসেবে থাকছেন ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের ভূপিন্দর সিংহ মান, শেতকারী সংগঠনের অনিল ঘনবট, ডক্টর প্রমোদ জোশি এবং কৃষি অর্থশাস্ত্রী অশোক গুলাটি।
শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্তকে অনেক কৃষক সংগঠন স্বাগত জানালেও বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠন এমনও আছে যারা এই সিদ্ধান্তের জন্য নিরাশা প্রকাশ করেছেন। কৃষক নেতারা বলেন, যতক্ষণ না আইন ফেরত নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন শেষ হবে না।
অপরদিকে, কৃষিআইন ও কৃষক আন্দোলন সংক্রান্ত এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রী কৈলাস চৌধুরী সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন,”সুপ্রিম কোর্টের রায় আমাদের ইচ্ছের বিপরীত কারণ আমরা আইন প্রয়োগ বজায় রাখতে চাই, কিন্তু এটি সর্বমান্য।”
তিনি আরো বলেন, একটি নিরপেক্ষ সমিতি গঠন করা হয়েছে। এই সমিতির সারা দেশের কৃষক এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার পরে রিপোর্ট প্রস্তুত করবে। পাশাপাশি, কেন্দ্র ও কৃষক সংগঠনগুলির মধ্যে ১৫ জানুয়ারির নির্ধারিত বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার সব সময় আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কৃষক সংগঠনগুলির এটা স্থির করা উচিত যে তাঁরা কি চান।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি কৃষক সংগঠনগুলিকে আক্রমণ করে টুইট করেছেন,”প্রথমে সংসদের সিদ্ধান্ত অস্বীকার। তারপরে সরকারের সঙ্গে যুক্তিহীন বিরোধ। আর এখন সুপ্রিম কোর্টের ওপর আক্রমণ। ভাই এটা কেমন জেদ, কেমন অহংকার।”
पहले संसद के फैसले से इन्कार।
फिर सरकार से तर्कहीन तकरार।
और अब सुप्रीम कोर्ट पर वार।
भैय्या,ये कैसी ज़िद,कैसा अहंकार।।— Mukhtar Abbas Naqvi (@naqvimukhtar) January 12, 2021