টিডিএন বাংলা ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের দামোহের গঙ্গা যমনা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়া হিন্দু মেয়েদের হিজাব পরিহিত ছবি সম্প্রতি স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।হিন্দি দৈনিক পত্রিকা ‘দৈনিক ভাস্কর’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, দশম শ্রেণীর ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরে, স্কুল কর্তৃপক্ষ টপারদের ছবি প্রকাশ করে, যেখানে ১৮জন শিক্ষার্থীদের ছবি রয়েছে। এর মধ্যে ১৫জন মেয়ে রয়েছে, যাদের সবাইকে হিজাব পরিহিত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। এদের মধ্যে চারজন মেয়ে হিন্দু। ‘দামোহ স্টোরি’ নামে এই ছবি স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। কোনো এক জনৈক ব্যক্তি এই ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে পোস্ট করেছেন। সেখানে হিজাব ও ধর্ম নিয়ে নানা মন্তব্য করা হয়েছে। এরপর, বিষয়টি পৌঁছয় জাতীয় শিশু অধিকার সংরক্ষণ কমিশনে। কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্কা কানুনগো এই বিষয়ে একটি টুইট করেছেন। প্রশাসন এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
দৈনিক ভাস্কর-এর তরফে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, ওই পত্রিকাকে অভিভাবকরা জানিয়েছেন, এই হেডস্কার্ফ (হিজাব) স্কুলের ড্রেস কোডের অংশ। এদিকে, এই বিষয়ে জানার পর, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান কালেক্টরকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ওই স্কুলে এবছর দশম শ্রেণীতে স্কুলে প্রথম হওয়া হিন্দু শিক্ষার্থীর দাবি, স্কুলে আল্লামা ইকবালের গান, ‘লব পে আতি হ্যায় দুয়া বনকর তমন্না মেরি, জিন্দেগি হো শমা কি সুরত খুদায়া মেরি’ গাওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই প্রতিবাদ শুরু করেছে হিন্দু সংগঠনগুলো। বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি বাতিলের পাশাপাশি, এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রও দামোহের এসপিকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে, এটিকে একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের পরিচালক। তিনি বলেন, এই প্রার্থনা সঙ্গীত শিশুদের জন্য। মেয়েটির পরিবারের সদস্যরাও জানেন না যে জাতীয় সঙ্গীত ছাড়াও স্কুলে প্রার্থনা হিসেবে আল্লামা ইকবালের গানও গাওয়া হয়। একইসঙ্গে, স্কুলে সবকিছু ঠিক আছে বলে দাবি করেছেন কালেক্টর মায়াঙ্ক আগরওয়াল।