টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদের একটি কলেজে বোরখা পরিহিত ছাত্রীদের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাঁরা কেভি রাঙ্গা রেড্ডি ডিগ্রি কলেজে তাঁদের উর্দু মাধ্যম ডিগ্রি পরীক্ষা দিতে গেলে বোরখা পরে থাকার কারণে তাঁদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
ছাত্রীদের অভিযোগ, কলেজের কর্মীরা তাঁদের জানিয়েছে, অন্যান্য কলেজে বোরখা পরার অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকতে পারে, কিন্তু এই কলেজে নয়। শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁদের পরীক্ষায় বসার জন্য আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। বোরখা খোলার পরই তাঁদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে, তেলেঙ্গানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ মাহমুদ শুক্রবার বলেন, কোনও প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ এটি করেছেন হয়তো, তবে, আমাদের নীতি ধর্মনিরপেক্ষ। শিক্ষার্থীরা যা খুশি পরতে পারে, কিন্তু আপনি যদি ইউরোপীয় পোশাক পরেন তবে সেটা ঠিক নয়।
তিনি আরও বলেন, সুন্দর পোশাক পরতে হবে। বিশেষ করে মহিলারা কম পোশাক পরার কারণে ভোগেন। বেশি জামাকাপড় পরলে মানুষ স্বস্তি বোধ করে। বোরখা পরা যাবে না এটা কোথাও লেখা নেই। এই ঘটনায় আমরা ব্যবস্থা নেব।
বোরখা খুলতে বাধ্য হওয়া ছাত্রীদের অভিভাবকরা জানিয়েছেন, বোরখার কারণে আমাদের সন্তানদের টার্গেট করা হয়েছে। একজন অভিভাবক বলেন, কলেজ ম্যানেজমেন্ট এমনকি অভিভাবকদের অনুরোধও শোনেনি, পরিবর্তে প্রবেশের গেটে অত্যন্ত অভদ্র স্টাফ পোস্ট করা হয়। এরপর, অভিভাবকরা গিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এবিষয়ে অভিযোগ জানান।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে উদুপির একটি সরকারি কলেজ থেকে হিজাব বিতর্ক শুরু হয়েছিল। মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরে আসতে বাধা দেওয়া হয়। স্কুল ম্যানেজমেন্ট হিজাবকে ইউনিফর্ম কোডের বিরুদ্ধে বলে জানায়। এরপর, বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য শহরেও।
মুসলিম শিক্ষার্থীরাও এর প্রতিবাদ করেন, যার বিরুদ্ধে হিন্দু সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত যুবকরাও গেরুয়া শাল পরে পাল্টা প্রতিবাদ শুরু করে। বিক্ষোভ একটি কলেজে সহিংস সংঘর্ষে পরিণত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে হয়।