কতটা ভয়ঙ্কর ওমিক্রন? নতুন প্রজাতির লক্ষণ কী কী?
টিডিএন বাংলা ডেস্ক : করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রনকে উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। নতুন এই ধরন নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। জারি হচ্ছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে এই ওমিক্রন? তার লক্ষণগুলিই বা কী?
গ্রিক বর্ণমালা দিয়ে এর আগে যেমন আলফা ও ডেল্টার নামকরণ হয়েছিল, ঠিক সেইভাবেই এর নামকরণ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন প্রজাতি ওমিক্রন জিনগত রূপ বদলেছে। এখনও পর্যন্ত ৫০ বার রূপ বদলেছে এবং স্পাইক প্রোটিনের বদল ঘটেছে ৩০ বারের বেশি। দেহকোষে ঢুকে পড়ার জন্য যে কোনও ভাইরাস মূলত এই স্পাইক প্রোটিনকে ব্যবহার করে। স্পাইক প্রোটিনকে লক্ষ্য করে বেশিরভাগ টিকা তৈরি করা হয়। তাছাড়া চিন্তার আরও একটি বিষয় রয়েছে। ভাইরাসের যে অংশ প্রথম মানুষের দেহকোষের সঙ্গে সংযোগ ঘটায়, তার নাম রিসেপ্টর বাইন্ডিং ডোমেইন। ওমিক্রনের সেই ডোমেইন ১০ বার রূপ বদল করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসক অ্যাঞ্জেলিক কোয়েতজি এই প্রসঙ্গে বলেন, ওমিক্রন নিয়ে এত আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, এখনও অবধি তাতে আক্রান্ত রোগীদের উপসর্গ কিন্তু একেবারেই মৃদু। আক্রান্তদের অধিকাংশকেই হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হয়নি। বাড়িতেই সেরে উঠেছেন তারা। তবে আক্রান্তদের বেশিরভাগেরই বয়স চল্লিশের নিচে এবং তাদের অধিকাংশেরই টিকা নেওয়া ছিল না।
আক্রান্তদের উপসর্গ কী ছিল? আক্রান্তদের অধিকাংশের হাতে পায়ে সামান্য ব্যথা, গলা খুসখুস, শুকনো কাশি, কারও কারও সামান্য জ্বর। অ্যাঞ্জেলিক আরও দাবি করেছেন, এই প্রজাতি যতগুলো মিউটেশনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, তাতে এর অতি সংক্রামক হয়ে ওঠার আশঙ্কা থাকছেই। কিন্তু সেটা করোনা ভ্যাকসিনের সুরক্ষা বর্ম ভেদ করতে পারবে, এমনটা বলা যায় না। ওমিক্রন যে অন্যান্য দেশেও ছড়াবে, তাতে একপ্রকার নিশ্চিত ওই চিকিৎসক।