HighlightNewsরাজ্য

ক্যাম্পাসের ভিতরে বিশাল পুলিশবাহিনী! আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদাতা, টিডিএন বাংলা, নিউ টাউন : গভীর রাত- রাত প্রায় একটা ! আজ বৃহস্পতিবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অধ্যাপিকা ও শিক্ষাকর্মীরা। এক নজিরবিহীন ছাত্রবিক্ষোভের সাক্ষী থাকলো আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। রীতিমতো কয়েক দফা আলোচনায় বসলেও অনলাইন পরীক্ষার বিষয়ে কোন রফাসূত্র বের না হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাস অবরুদ্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। গভীর রাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যাপকসহ অন্যান্যরা অবরুদ্ধ হয়ে থাকায় উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে ক্যাম্পাসে। রাত একটার পরে বিশাল পুলিশবাহিনী যাদের কেউ পোশাকে, কেউ সাধারণ পোশাকে,কেউ আবার মুখে রুমাল বেঁধে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। পুলিশের ক্যাম্পাসে প্রবেশকে কেন্দ্র করে ছাত্রছাত্রীরা তীব্র উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। পুলিশ গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আন্দোলন তুলে নিতে বলে। তবে ছাত্রছাত্রীরা পুলিশকে ক্যাম্পাসের বাইরে যাওয়ার জন্য স্লোগান দিতে থাকে। তারা অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে অনড় থাকে এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে সরতে অস্বীকৃতি জানায়। অবরুদ্ধ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় সেমিস্টার পরীক্ষার ৭০% অনলাইন ও ৩০% অফলাইন পরীক্ষা নেওয়ার কথা বললেও ছাত্রছাত্রীরা ১০০% পরীক্ষাই অনলাইনে নেওয়ার দাবিতে অনড় থাকে। পরবর্তীতে পুলিশ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে তর্কবিতর্কের পর ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু তারপরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অন্যান্য অধ্যাপকরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে অবরুদ্ধ হয়ে থাকে। ছাত্র-ছাত্রীদের অবরোধের কারণে তাদেরকে বের করে আনা সম্ভব হয়নি। আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের দাবি, যেহেতু ছয় মাসের সিলেবাসের সেমিস্টারের জন্য তারা মাত্র দুই মাস সময় পেয়েছে ও বিভিন্ন ছুটির ফলে ক্লাসও ঠিকঠাক হয়নি তাই কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটিসহ অন্যান্য ইউনিভার্সিটির মত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাও পুরোপুরি অনলাইনেই নিতে হবে। এখনো পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীর আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।

Related Articles

Back to top button
error: