টিডিএন বাংলা ডেস্ক: শিবসেনার সাংসদ ও মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের দাবি, মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরে নেতৃত্বাধীন সরকারকে “অস্থির” করার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে “ব্যবহার” করা হচ্ছে। উল্লেখ্য পিএমসি ব্যাংক জালিয়াতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বর্ষা রাউতকে তলব করেছে ইডি। এই নিয়ে তৃতীয় বার এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বর্ষা রাউতকে তলব করল ইডি। ২৯ ডিসেম্বর তাঁকে তদন্তকারী সংস্থার মুম্বাইয়ের দপ্তরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যেতে হবে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইডি বর্ষা রাউত এবং এই মামলায় গ্রেফতার প্রবীণ রাউতের মধ্যে হওয়া কথিত আর্থিক লেনদেনের মামলার তদন্ত করছে।
ইডির এই তলবের পর সঞ্জয় রাউত বলেন,”বিজেপির কিছু নেতা-নেত্রীর বছর ধরে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এটা জানিয়ে যে তারা মহারাষ্ট্র সরকারকে অস্থির করার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা করে ফেলেছেন। আমি যাতে সরকারকে সমর্থন না জানাই তার জন্য আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং লাগাতার আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।” তিনি আরো বলেন,”ওরা (বিজেপি নেতারা) বলেছিল যে ওদের কাছে কংগ্রেস এবং এনসিটির ২২ জন বিধায়কের তালিকা রয়েছে যাঁরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চাপে ইস্তফা দিয়ে দেবেন।”
তাঁর স্ত্রী বর্ষা রাউতকে পিএমসি ব্যাংক জালিয়াতি মামলায় তলব প্রসঙ্গে সঞ্জয় রাউত আরো বলেন, তিনি বালাসাহেব ঠাকরের শিব সৈনিক এবং তিনি বিজেপির আসল রূপ প্রকাশ্যে আনবেন। তাঁর দাবি, বিজেপি নেতাদের নীরব মোদী এবং বিজয় মালার মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে।
এ প্রসঙ্গে সঞ্জয় রাউত আরো দাবি করেন, তাঁর কাছে বিজেপির একশো কুড়ি জন নেতার একটি তালিকা আছে, যাঁদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডির তদন্ত করা উচিত। তিনি বলেন,”আমার স্ত্রী একজন শিক্ষিকা। বিজেপি নেতাদের মতো আমাদের সম্পত্তি হঠাৎ করে বেড়ে গিয়ে ১৬০০ কোটি টাকা হয়ে যায়নি।”
সঞ্জয় রাউতের অভিযোগ, গত কয়েক বছরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী এবং তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত করানোর কাজে “ব্যবহার” করা হচ্ছে। তিনি বলেন,”আমার স্ত্রী ১০ বছর আগে একটি বাড়ি কেনার জন্য এক বন্ধুর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে গত দেড় মাস ধরে লাগাতার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সাথে চিঠির মাধ্যমে বার্তালাপ হয়েছে।” সঞ্জয় রাউত জানান,চিঠিতে এই লোন সম্পর্কে সমস্ত বিবরণ এদিকে জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। তিনি আরো বলেন,”আমরা মিডিল ক্লাস ফ্যামিলির মানুষ। আমার স্ত্রী বাড়ি কেনার জন্য ১০ বছর আগে এক বন্ধুর কাছ থেকে লোন নিয়েছিলেন। এ সম্পর্কে তথ্য আয়কর বিভাগকে জানানো হয়েছে এবং রাজ্যসভা নির্বাচনের সময় শপথ পত্র আমি এর উল্লেখ করেছিলাম। ১০ বছর পর এখন ইডির ঘুম ভেঙেছে।”