HighlightNewsদেশ

“আমি যদি রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছাই, আমি সিএএ আইন কার্যকর হতে দেব না”, মন্তব্য বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহার

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচারে সিএএ আইন প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বড়সড় ঘোষণা করলেন বিরোধী দলীয় রাষ্ট্রপতি প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। বুধবার আসামে পৌঁছে সিনহা বলেন, “আমি যদি রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছাই, তবে মোদী সরকারের সিএএ-এনআরসি আইন কার্যকর হতে দেওয়া হবে না”।

সিনহা আরও বলেন, “দেশে সংবিধানের ওপর হামলা হচ্ছে। সংবিধানের প্রতি হুমকি বাইরের শক্তি থেকে নয়, ক্ষমতায় থাকাদের কাছ থেকে। এটা বন্ধ করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।” তিনি আরো বলেন,”আমি আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত সিএএ-এনআরসি আইনের বিরুদ্ধে লড়াই করব।”

যশবন্ত সিনহা তার আসাম সফরে এআইইউডিএফ নেতাদের সঙ্গেও দেখা করেছেন। উল্লেখ্য, সিএএ আইনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার এআইইউডিএফ। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশোবন্ত সিনহা সিএএ আইন সম্পর্কে বলেন, “এটি নির্বোধ পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা হয়েছে। সরকার এ কারণে বাস্তবায়ন করতে পারছে না এবং শুধু অজুহাত দিচ্ছে।” সিনহা আরো বলেন,”এটা আসাম এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং আমি আশা করি সবাই বুঝতে পারবেন।” যশবন্ত সিনহা আসামের বিজেপি বিধায়কদের বিচক্ষণতার ভিত্তিতে ভোট দেওয়ার আবেদনও করেছেন।
প্রসঙ্গত, ৩১ মাস পেরিয়ে গেলেও দেশে সিএএ আইন কার্যকর করা যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনো আইনের বিধিমালা ৬ মাসের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে যাতে সেই আইন কার্যকর করা যায়। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অর্থাৎ সিএএ সংসদে ১১ডিসেম্বর, ২০১৯-এ পাস হয়েছিল। আইনটি ১০ জানুয়ারী ২০২০-তে কার্যকর হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত এর বিধিমালা ঠিক করা হয়নি। বিধিমালা ঠিক করার জন্য, কেন্দ্র সরকার অক্টোবর ২০২০, ফেব্রুয়ারি ২০২১ এবং মে ২০২১-এ সংসদের অধস্তন আইনসভা কমিটিগুলির কাছ থেকে এক্সটেনশন চেয়েছিল। এরপর, চলতি বছরের মে মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেন, করোনা শেষ হওয়ার পরে এটি কার্যকর করা হবে।
প্রসঙ্গত, সিএএ-এর অধীনে, ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, পার্সি, জৈন এবং বৌদ্ধ ধর্মের মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ এর আগে যারা এসেছেন তারা নাগরিকত্ব পাবেন। এখন নাগরিকত্ব পেতে ১১ বছর থাকার নিয়মও শিথিল করা হয়েছে।

Related Articles

Back to top button
error: