আব্দুস সালাম, টিডিএন বাংলা: ভোটের আগে তাদের দাবি পুরণ করা না হলে সাগরদিঘীর মতো পরিণতি হতে পারে গোটা রাজ্যে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উদ্দেশ্যে এমনই হুমকি দিলেন ইমাম মুয়াজ্জিন, ব্রাহ্মণ ও পাদ্রীদের সংগঠন। আজ বুধবার কলকাতার প্রেসক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে অল বাংলা ইমাম-মুয়াজ্জিন অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও বঙ্গীয় সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট পশ্চিম বঙ্গ রাজ্য কমিটি। সেই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রত্যেক ভোটের আগে এই সরকার তাদের অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিন্তু ভোট মিটে যেতেই কোনো প্রতিশ্রুতি আর রক্ষা করা হয়নি।
এদিন হিন্দু ধর্মীয় নেতারা বলেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিলে আপনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করবো। কিন্তু অবিলম্বে দাবি না মানা হলে আমরা কলকাতার বুকে প্রায় ৭০ হাজার হিন্দু পন্ডিত ও ৭২ হাজার মুসলিম ইমাম-মুয়াজ্জিন এবং খ্রিস্টান পাদ্রীদের নিয়ে বিশাল সমাবেশ করবো। তবে তারা জানিয়ে দিয়েছেন তারা বর্তমান সরকারের পরিবর্তন চাননা বরং তাদের ন্যায্য দাবি আদায় করতে চান।
এদিন তারা একটি যৌথ প্রেস বিবৃতি দিয়ে বলেন, ১) বতর্মান আকাশছোঁয়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতি লক্ষ্য রেখে অবিলম্বে ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে, ইমাম, পুরোহিত ও ফাদারদের মাসিক ১০,০০০/ (দশ হাজার টাকা) ও মুয়াজ্জিনদের ৫০০০ (পাঁচ হাজার টাকা) করতে হবে । ২) নেতাজী ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দরিদ্র ইমাম-মুয়াজ্জিন, পুরোহিত ও ফাদারদের জন্য আবাসন বা বাড়ির ব্যবস্থা ও ভূমিহীনদের জন্য ভূমির ব্যবস্থা করতে হবে। ৩) ওয়াকফ বোর্ডকে দূর্নীতি মুক্ত করতে হবে এবং ইমাম মুয়াজ্জিনদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে ও ভাতা সংক্রান্ত পরিষেবা দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে এবং বর্তমান সি.ই.ও. কে অপসারন করতে হবে। ৪) সংখ্যালঘুদের শিক্ষার উন্নয়নে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে ইংরেজী মাধ্যম আবাসিক স্কুল চালু করতে হবে। ৫) সরকারি দপ্তর, দলীয় পদ ও নির্বাচনের সময় সংখ্যানুপাতে সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্ব দিতে হবে। ৬) বেকার সংখ্যালঘু যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান সহ চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে এবং সংখ্যানুপাতে সংখ্যালঘুদের চাকরি দিতে হবে।