লাখ মানুষের ‘আজাদি মার্চ’ থেকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা জন্য ৬ দিনের আলটিমেটাম ইমরান খানের
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগ পর্যন্ত ইসলামাবাদে অবস্থান বিক্ষোভ চালানোর ঘোষণা দিয়ে ‘আজাদি মার্চ’ নামের লংমার্চ কর্মসূচি নিয়ে ইসলামাবাদ পৌঁছান পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। তার সেই আজাদি লংমার্চ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে দেশে। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত লাখ মানুষের ‘আজাদি মার্চ’ থেকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা জন্য ৬ দিনের আলটিমেটাম দিয়ে রাজধানী থেকে বাসভবনে ফিরে গেলেন ইমরান খান। এদিন তিনি বলেন, ‘আমদানি করা সরকারের প্রতি আমার বার্তা হলো—পার্লামেন্ট ভেঙে দাও এবং নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দাও। অন্যথায় ছয় দিন পর আমি আবার ইসলামাবাদে আসছি।’
এই আজাদি মার্চ নিয়ে ইমরান যাতে ইসলামাবাদে না পৌঁছাতে পারে তার জন্য রাজধানী অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বহু সদস্য মোতায়েন করা হয়। কিন্তু ইমরানের সমর্থকরা পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে ইসলামাবাদের নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রেড জোনে ঢুকে পড়ে। ‘আজাদি মার্চ’ নিয়ে বুধবার দিবাগত রাতে ইসলামাবাদে পৌঁছান ইমরান খান। তার গাড়িবহরের পেছনে ছিল রীতিমতো ‘জনতার সমুদ্র’। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, মার্কিন দূতাবাসসহ কয়েকটি স্পর্শকাতর ভবন রয়েছে। পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর ‘রেড জোনে’ অবস্হিত সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্হাপনা রক্ষায় সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সেখানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের আজাদি মার্চ নসাৎ করে দিতে সরকার সব ধরনের চেষ্টা করেছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে। আমাদের বাসাবাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা হয়েছে। তবে আমি দেখলাম, জাতি ভয়মুক্ত হয়েছে। তারা দাসত্ব থেকে মুক্তি চায়।’