HighlightNewsরাজ্য

নজিরবিহীন ভাবে কলকাতা হাইকোর্টে হাতাহাতি সংঘর্ষে জড়ালেন আইনজীবীরা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : কলকাতা হাইকোর্টে মধ্যেই হাতাহাতি সংঘর্ষে জড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপিপন্থী আইনজীবীরা। এই ঘটনায় হতবাক সকলেই। কলকাতা হাইকোর্টে ইতিহাসে এই ধরনের আইনজীবীদের হাতাহাতি সংঘর্ষে জড়ানো নজিরবিহীন ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। হাইকোর্টের ইতিহাসে এমন ঘটনার উদাহারণ রয়েছে কিনা এক কথায় কেউই মনে করতে পারছেন না। এই সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হয়েছেন। বর্ষীয়ান আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আহতদের দ্রুত এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসপন্থী আইনজীবীদের একাংশ দাবি করেছেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ একপেশে নির্দেশ দিচ্ছেন। সেই জন্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বেঞ্চ বয়কটের দাবি তোলেন তাঁরা। ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা এই বিষয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপের দাবি তোলেন। তারা হুঁশিয়ারি দেন প্রধান বিচারপতি হস্তক্ষেপ না করলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে কোনও আইনজীবী হাজির হবেন না। অন্যদিকে বিজেপিপন্থী আইনজীবীরা মনে করেন সঠিক নির্দেশই দিচ্ছেন বিচারপতি। এই নিয়ে বার অ্যাসোসিয়েশনের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোল বাঁধে। সমস্যা সমাধানে বার অ্যাসোসিয়েশন বৈঠক ডাকে। কিন্তু সেই বৈঠকে আইনজীবীদের একাংশ মাইকের তার ছিড়ে দেয় বলে অভিযোগ। তারপরেই কলকাতা হাইকোর্টে মধ্যে নজিরবিহীন ভাবেই আইনজীবীরা হাতাহাতি মারপিটে জড়িয়ে পড়েন।

এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। এই ঘটনায় তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে বারের বৈঠকে হওয়া এই ঘটনা নিয়ে আদলতের কিছু করার নেই বলে বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দাবি করা হয়েছে। যদিও আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে আদালত হস্তক্ষেপ করতেই পারে বলে মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে চলা বেশ কিছু মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ যা রাজ্য সরকারের বিপক্ষে গিয়েছে। বিশেষ করে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। যা নিয়ে রীতিমত অস্বস্তি বেড়েছে সরকারের। এমনকি আজ খোদ রাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। এর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশন মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের ওপর ডিভিশন বেঞ্চের স্থগিতাদেশ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

Related Articles

Back to top button
error: