টিডিএন বাংলা ডেস্ক : নতুন বছর শুরু হওয়ার আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে অনন্তনাগ ও কুলগাম জেলায় আবারও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দু’টি পৃথক সংঘর্ষে ৬ গেরিলার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল। পুলিশের ধারণা, বর্ষবরণের আগে বড়সড় নাশকতার ছক ছিল তাদের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অনন্তনাগে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরপরই কুলগামের মিরহামা গ্রামে অভিযান চালায় সেনা বাহিনী। পুলিশের কাছে খবর ছিল ওই গ্রামে জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে। তল্লাশির মধ্যেই জঙ্গিরা গুলি ছুড়তে শুরু করেছিল। তার পর সেনার পাল্টা গুলিতে মারা যায় জঙ্গিরা। এই তথ্য জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।
কাশ্মির পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বিজয় কুমার বলেন, নিহত ব্যক্তিরা পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশে মুহাম্মদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, “গুলিতে তিন সেনা সদস্য ও একজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় এক জওয়ানের। জসবীর সিং নামে নিহত ওই জওয়ান পাঞ্জাবের তরনতারন জেলার বাসিন্দা ছিলেন।” অপর এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, “বন্দুকযুদ্ধে একজন সেনা নিহত হয়েছে এবং গুলি বিনিময়ে আরও দুই সেনা এবং একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।”
বিজয় কুমার আরও জানান, “এই প্রথম গোটা কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের সংখ্যা দু’শোর নীচে নেমে এসেছে। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সংখ্যাও প্রথমবারের মতো একশোর নীচেয় নেমে এসেছে। বর্তমানে মাত্র ৮৫/৮৬ জন স্থানীয় সন্ত্রাসী অবশিষ্ট রয়েছে।” এই অভিযানকে একটি বড় সাফল্য হিসেবে মনে করছে কাশ্মীর পুলিশ।
তিনি বলেছেন, “ডিসেম্বরে ২৪ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫ জন পাকিস্তানি। আমরা ২টি মার্কিন নির্মিত এম-৪ কার্বাইন রাইফেল, ১৫টি একে-৪৭, ২৪টির বেশি পিস্তল, গ্রেনেড, আইইডি উদ্ধার করেছি।”