টিডিএন বাংলা ডেস্ক: বিলকিস বানু গণধর্ষণ মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ল গুজরাট সরকারের সাজাপ্রাপ্ত দোষীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত। অপরাধীদের আগাম মুক্তি পাওয়া কি কোনো মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে? এটা কি সংবিধানের ৩২ নম্বর ধারার আওতায় পড়ে? সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবীদের এই প্রশ্ন করেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা। উত্তরে এক আইনজীবী জানিয়ে দেন, এটা সাজাপ্রাপ্তদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না।
উল্লেখ্য যে, গুজরাট দাঙ্গার সময় বিলকিস বানো ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের গণধর্ষণ করা হয়। এরপর নির্মম ভাবে তার সন্তান, মা, বোন সহ অন্যান্য সদস্যদের হত্যা করা হয়। শুধু সৌভাগ্য ক্রমে বেঁচে যান তিনি। সেই ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। বিশ্বের সামনে লজ্জায় মাথা নীচু হয়ে যায় দেশবাসীর। এরপর কেটে গিয়েছে ২টি দশক। সমস্ত প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে সেই মামলায় অন্তত ১১জনকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেয় আদালত। কিন্তু সবাই কে অবাক করে দিয়ে হঠাৎ গুজরাট সরকার সেই অপরাধীদের শাস্তি ভোগ করার আগেই সাজা মকুব করে আগাম মুক্তি দেয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সমালোচনা শুরু হয় দেশ জুড়ে। কিন্তু তারপরেও রাজ্য সরকার তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকলে বিলকিস বানো সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। কেন এই ভয়াবহ অপরাধীদের এভাবে আগাম জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিরোধীদলীয় নেতারা অভিযোগ তোলেন এটা আসলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য একটি বার্তা। এবার বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছে সাজাপ্রাপ্তদের কি আগাম মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও মৌলিক অধিকার রয়েছে?