HighlightNewsদেশ

লোকসভা ভোটের মুখে সরকারি সংস্থার বেসরকারীকরণে আরও এক ধাপ আগাল মোদী সরকার! আইন সংশোধন করে টেলিকম সংস্থার মাথায় বেসরকারি ব্যক্তি 

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকটা মাসের অপেক্ষা পর সারা দেশে শুরু হবে লোকসভা ভোট। আর সেই ভোটের মুখে এবার দেশের সরকারি সংস্থার বেসরকারীকরণে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল নরেন্দ্র মোদীর সরকার! একেবারে আইন সংশোধন করে দেশের টেলিকম সংস্থা টেলিকম রেগুলেটরি অথিরিটি বা ট্রাইয়ের মাথায় একজন বেসরকারি ব্যক্তিকে বসানো হচ্ছে বলে খবর। প্রথম থেকেই বিজেপি সরকারের সরকারি সংস্থার বেসরকারীকরণে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে দেশের সমাজকর্মী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। এই ভাবে নরেন্দ্র মোদীর সরকার গোটা দেশকেই কোনো দিন বেচে দেবে বলে সরব হয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতারা। যদিও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের প্রতিবাদ বা সমাজকর্মীদের সমালোচনা বা জনতার বিক্ষোভ কোনো কিছুতেই যে কাজ হয়নি তা এই ঘটনায় আরও একবার প্রমাণিত হল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদী সরকার বিগত সাড়ে নয় বছরে যে সব গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক সংস্কার করেছে তার মধ্যে অন্যতম হল, পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলা। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থার মাথায় বেসরকারি ব্যক্তিদের বসানোও মোদী সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়ার আর একটি দিক। এই ভাবনাকে সামনে রেখে এবার টেলিকম রেগুলেটরি অথিরিটি বা ট্রাইয়ের (TRAI) মাথায় অভিজ্ঞ বেসরকারি ব্যক্তি বসাতে আইন সংশোধন করার পথে এগচ্ছে সরকার। এর আগে শেয়ার বাজারের নিয়ামক সংস্থা সেবির মাথায়ও বসানো হয়েছে বেসরকারি কর্তাকে।

সংসদের আসন্ন বিশেষ অধিবেশনেই ১৯৯৭ সালের ট্রাই (TRAI) আইনের ৪ নম্বর ধারাটি সংশোধন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে সরকারি বা বেসরকারি ক্ষেত্রের টেলিকম সেক্টরে ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোনও ব্যক্তি ট্রাইয়ের চেয়ারম্যান হতে পারবেন। চলতি আইনে বেসরকারি ব্যক্তিকে বসানোর বিধান নেই। দেশের সরকারি-বেসরকারি টেলিফোন পরিষেবা এবং ইন্টারনেট সার্ভিসের নিয়ামক সংস্থা ট্রাইয়ের (TRAI) বর্তমান চেয়ারম্যান পিডি বাঘেলা ১৯৮৬ সালে গুজরাত ক্যাডারের আইএএস অফিসার। সংস্থার প্রথম চেয়ারম্যান এসএস শোধি ছিলেন এলাহাবাদ হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।

Related Articles

Back to top button
error: