HighlightNewsদেশ

বিশ্ব উষ্ণায়ণ ও জলবায়ুর পরিবর্তনে ভয়াবহ বিপদের মুখে ভারত-পাকিস্তান, ধ্বংসের সম্মুখীন হতে পারে ২২০ কোটি মানুষের জীবন 

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পেতে থাকা বিশ্ব উষ্ণায়ণ ও খুবই দ্রুততার সঙ্গে জলবায়ুর পরিবর্তনের জেরে এবার খুব শীঘ্রই ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়তে চলেছে এশিয়া তথা বিশ্বের অন্যতম জনবসতির দেশ ভারত ও পাকিস্তান! এখনই সতর্কতা অবলম্বন না করলে এর ফলে ধ্বংসের সম্মুখীন হতে পারে এই দুই প্রতিবেশী দেশের প্রায় ২২০ কোটি সাধারণ মানুষের জনজীবন। এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে আবহাওয়াবীদরা। পাশাপাশি রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রস সোসাইটির একটি যৌথ রিপোর্টেও এমনই আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে।

প্রতি নিয়ত প্রযুক্তির উন্নয়ন, বিলাসবহুল জীবনযাপন ও উন্নত বিশ্বের নামে ধ্বংস করা হচ্ছে পৃথিবীর পরিবেশ। বিশেষ করে যথেচ্ছ ভাবে চলছে গাছ কাটা, অরণ্য ধ্বংস ও জলবায়ু পরিবর্তনের আশঙ্কা আছে এমন নানা ধরনের কাজকর্ম। তারই ফলশ্রুতিতে বিগত কয়েক দশকে তাপপ্রবাহের কারণে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে এ কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দশকে ভারতের একাধিক জায়গায় তাপপ্রবাহ এত তীব্র হয়ে উঠবে যে কার্যত ধ্বংসের সম্মুখীন হবে নাগরিক জীবন। তাপমাত্রা সহনশীলতার সীমা ছাড়িয়ে যাবে। ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহের কবলে পড়বে ভারত-পাকিস্তান। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন প্রায় ২২০ কোটি মানুষ। ভারতের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছতে পারে যেখানে কোনও ভাবেই আর মানিয়ে নিতে পারবে না মানুষ। পাশাপাশি, তীব্র খরা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে পুরো মাত্রায়।

আবহাওয়াবিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ণের জেরে জলবায়ু বদলই এর কারণ। এমন দাবদাহের জন্য দায়ী যথেচ্ছ দূষণ, গাছ কেটে নগরোন্নায়ন ও অত্যধিক তেজস্ক্রিয় বিকিরণ। ছ’টা ঋতুই যেন উধাও হয়ে গেছে ঋতুচক্র থেকে। ২০২৪ সালে আবার এল নিনোর ফিরে আসার সম্ভাবনা প্রবল। এর জেরেই নাকি পৃথিবীর তাপমাত্রা চড়চড় করে বাড়বে। তীব্র তাপপ্রবাহ ছারখার করে দেবে সব, ফুটিফাটা হবে মাটি, শুকোবে জল, খরার হাহাকার দেখবে বিশ্ববাসী। প্রশান্ত মহাসাগরের চিলি ও পেরু উপকূল এবং মহাসাগরের মধ্যাঞ্চলে তৈরি হওয়া সেই ‘এল নিনো’র জেরে এ বার ওলটপালট হয়ে যেতে পারে ভারতের বর্ষার মরসুম। উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যেতে পারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। এমন সবই সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে মানবীয় বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান হয়েছে। অন্যথায় এই পরিবেশই তাদের ভয়াবহ শাস্তি দেবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আবহাওয়াবীদরা।

Related Articles

Back to top button
error: