পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে আজ বিশ্বকাপ অভিযান শুরু ভারতের

টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ টি ২০ বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে সুপার টুয়েলভ অভিযান শুরু করবে ভারত। দুবাইয়ে ম্যাচ শুরু ভারতীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। তার আগে দুই দলই মহারণের শেষ প্রস্তুতি সেরে ফেলছে আইসিসি ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট দল কালই সেখানে পৌঁছায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে ৫ বার দেখা হয়েছে ২ দলের। পাঁচবারই জয় পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া। সংখ্যাটা এবার বাড়িয়ে নেওয়ার পালা। বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং – একদিকে সব বিভাগে দুর্দান্ত ভারসাম্যে থাকা টিম ইন্ডিয়া। অভিজ্ঞতার সঙ্গে যেখানে তারুণ্যের দুরন্ত মিশেল।

আইসিসি ইভেন্টে, পাকিস্তান ভারত থেকে মাত্র ৩টি ম্যাচ জিতেছে, তিনটি ম্যাচই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। যেখানে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল আছে, এই পরাজয় খুব কমই কোনও ভারতীয় ভক্তের মনকে কলঙ্কিত করবে। এই ম্যাচে ভারতের পরাজয়ের সবচেয়ে বড় কারণ ছিল অধিনায়ক বিরাট কোহলির টস জেতার পরেও প্রথমে বল করার ভুল সিদ্ধান্ত।

আজ দুবাইয়ে ইন্দো-পাক দ্বৈরথের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ। তার আগে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সৌরভ এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘‘সবার নজর থাকে এই ম্যাচের দিকে। আমি বোর্ড সভাপতি হওয়ার পরেই ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাক ম্যাচ হয়েছিল। এই ম্যাচে টিকিটের বিপুল চাহিদা থাকে। তাই ভারতে এই ম্যাচের আয়োজন করা খুব মুশকিল। কিন্তু আমিরশাহিতে এই ম্যাচের উন্মাদনা অন্য রকম। তাই সেখানে কোনও সমস্যা হয় না।’’

প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হলেও তাতে ভারতের খুব বেশি সমস্যা হবে না বলেই মনে করেন সৌরভ। তিনি বলেন, ‘‘এই প্রথম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে ভারত বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করছে, তা নয়। ২০১৫ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম খেলা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ছিল। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচেও এই দু’দল খেলেছিল। ফাইনালে ফের মুখোমুখি হয়েছিল তারা। তাই ক্রিকেটাররা চাপ সামলাতে সক্ষম।’’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দু’লের মোট পাঁচ বার সাক্ষাৎ হয়েছে। পাঁচ বারই ভারত জিতেছে। তাই কিছুটা হলেও ভারত এগিয়ে রয়েছে বলেই মনে করেন বোর্ড সভাপতি।
তবে বাবর আজম ও বিরাট কোহলি দুজনেই অতীত রেকর্ডকে পাত্তা দিচ্ছেন না। পাকিস্তান দলকে সমীহ করে বিরাট কোহলি বলেছেন, ওই দলে এমন কিছু ক্রিকেটার আছেন যাঁরা ম্যাচের মোড় বদলে দিতে পারেন। তাই সার্বিকভাবে রণকৌশল সাজিয়ে তার সফল বাস্তবায়নই বিরাট কোহলির ভারতের লক্ষ্য। বেসিকস ঠিক রেখে পরিকল্পনার রূপায়ণে জোর দিচ্ছে পাকিস্তান শিবির। ম্যাচ উপভোগ করার বার্তাও এসে গিয়েছে। বিরাট কোহলি ও বাবর আজম এই প্রথম টি ২০ বিশ্বকাপে নিজেদের দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সাদা বলের ক্রিকেটে ব্যাটারদের তালিকায় এই মুহূর্তে বিরাটের চেয়ে এগিয়ে বাবর। ফলে দুই সেরা ব্যাটারের দ্বৈরথ ও ভারত পাকিস্তানের ৬ বছর পর টি ২০-তে মুখোমুখি হওয়া রবি-সন্ধ্যার বড় আকর্ষণ হতে চলেছে। যদিও দুই শিবিরেই মহা-ম্যাচের আগে অদ্ভূত শান্তির পরিবেশ বিরাজ করছে। যা সচরাচর দেখা যায় না।