আন্তর্জাতিক

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : রানের ‘প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে ৬২ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ইব্রাহিম রাইসি। কট্টরপন্থী মনোভাবাপন্ন এই রাজনীতিবিদের বিপুল ভোটে নির্বাচনে বিজয়ের খবর প্রকাশ করে তেহরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রাইসিকে অভিনন্দন বার্তা পাঠান তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ আবদুল নাসের হেম্মাতি। বিচারপতি থেকে দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন তিনি।

৬০ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসি তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করেছেন। তাকে ২০১৯ সালে বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এর দুবছর আগে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি হাসান রুহানির কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হন। খুব শীঘ্র বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির হাত থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হবে তাঁর হাতে।

আন্তর্জাতিক কূটনীতি, অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা এবং নাগরিকদের আন্দোলনে জর্জরিত পরিস্থিতির মধ্যেই দেশের শাসনব্যবস্থা হাতে নেবেন ইব্রাহিম।

নিজেকে ইসলামের প্রবর্তম মহম্মদের বংশধর বলে দাবি করেন ইব্রাহিম, যে কারণে মাথায় কালো পাগড়ি পরেন তিনি। ইরানের শাসনব্যবস্থার সঙ্গে বহু বছর ধরেই যুক্ত তিনি। ২০১৭ সালেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রধান বিরোধী অবস্থানে ছিলেন, কিন্তু সে বার রুহানির কাছে পরাজিত হন।

এবার আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নাম লেখান। তিনি আয়াতোল্লা খোমেইনির ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত।আগামী পাঁচ বছরে ক্রমেই জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে এই কট্টরপন্থী নেতার। বরাবরই আমেরিকা-সহ পশ্চিমা দেশগুলির তীব্র সমালোচনা করে এসেছেন রাইসি। তবে হোয়াইট হাউজে বাইডেন আসার পর ইরানের প্রতি মার্কিন মনোভাবে বদল এসেছে। এই পরিস্থিতিতে শান্তি বজায় রাখতে রাইসি নিজের অবস্থান বদল করেন কি না, তাই দেখার।

আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪৮.৮ শতাংশ । যার মধ্যে ৬১.৯৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ইব্রাহিম রাইসি। তিনি ভোট পেয়েছেন ২ কোটি ৮৯ লাখ ৩৩ হাজার । ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর দেশটিতে সবচেয়ে কম ভোটদানের ঘটনা ঘটেছে এবার।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৬০০ জনের বেশি প্রার্থী এর মধ্যে গার্ডিয়ান কাউন্সিল সাতজন বাদে সবাইকে অযোগ্য ঘোষণা করেন। এই অযোগ্যদের মধ্যে ছিলেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট, বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দেশটির পার্লামেন্টের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ স্পিকার পর্যন্ত। দেশটির এই গার্ডিয়ান কাউন্সিল মূলত ধর্মীয় নেতা ও আইনজীবীদের একটি দল যাঁরা প্রার্থীদের যাচাই করেন। তারাই রাইসির জয়ের পথ তৈরি করেন বলে অভিযোগ বিভিন্ন মহলে।

Related Articles

Back to top button
error: